আগরতলা, ২৫ ফেব্রুয়ারি (হি.স.)৷৷ জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভাড়া বৃদ্ধির দাবি মেনে নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার৷ তাই, আগামীকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য যাত্রী পরিষেবা বন্ধ রাখার প্রস্তাবিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে বেসরকারি বাস মালিক সংস্থা৷ আগামীকাল বেলা দেড়টার মধ্যে বর্ধিত ভাড়ার তালিকা তৈরি হয়ে যাবে বলে পরিবহণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় আশ্বাস দিয়েছেন, এমনটাই জানালেন বাস মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি৷
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে নাগেরজলা-সোনামুড়া বাস মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শঙ্কর দেবনাথ বলেছিলেন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রতিদিন লোকসান হচ্ছে আমাদের৷ অথচ, সরকার এ-বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না৷ তাই, পরিষেবা বন্ধ রাখা ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা নেই আমাদের, জানান তিনি৷
তাঁর কথায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরার পরিবহণ মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ভাড়া বৃদ্ধির আবেদন জানানো হয়েছিল৷ ১৫ দিনের সময়সীমা দিয়ে ভাড়া বৃদ্ধির আবেদনে সরকার কর্ণপাত করেনি৷ তাই, পুনরায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি চিঠিতে বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছিলম৷ কিন্তু তবুও ত্রিপুরা সরকার এ-বিষয়ে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দেয়নি৷ তাই আগামীকাল থেকে পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বলেছিলেন তিনি৷
তাঁর দাবি, জ্বালানি তেলের মূল্য সাংঘাতিক বেড়েছে৷ ফলে, প্রতিদিন লোকসান হচ্ছে৷ তাঁর বক্তব্য, করোনার কারণে এমনিতেই আমরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি৷ তার সাথে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে খরচ বহন করা দায় হয়েছে আমাদের৷ তবে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাসের বিষয়ে তাঁদের তেমন কোনও মাথা ব্যথা নেই, তা তাঁরা স্পষ্টই জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়৷ তবে, ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের অনুমতি ছাড়া সম্ভব হবে না৷
ওই হুমকির কিছুক্ষণের মধ্যেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে সংস্থা৷ কারণ, ত্রিপুরা সরকার ভাড়া বৃদ্ধির দাবি মেনে নিয়েছে৷ বাস মালিক সংস্থার সভাপতি জানিয়েছেন, ত্রিপুরা সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে৷ পরিবহণ মন্ত্রী টেলিফোনে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন৷ তাই, আগামীকাল থেকে বাস পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ তাঁর কথায়, আগামীকাল দুপুরের মধ্যে বর্ধিত ভাড়ার তালিকা আমরা পেয়ে যাব৷ ত্রিপুরা সরকারের কাছে ৫০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়েছে৷