রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিস্তর পরিমাণে নেশা সামগ্রী উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১৯

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা/চড়িলাম/খোয়াই/ আমবাসা, ১৪ ফেব্রুয়ারি৷৷ রাজ্য পুলিশ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে৷ সপ্তাহে দুইদিন রাজ্যের সবগুলি থানা এবং টিএসআর ক্যাম্পগুলির সহযোগিতা নিয়ে পুলিশ অভিযান চালাবে৷ তাছাড়া নেশা চোরকারবারের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে দুটি প্রক্রিয়াই৷ রবিবার রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১৯ জন নেশা কারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে৷ এর মধ্যে নয়জনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে থানাগুলিতে এনডিপিএস এর মামলা নথিভূক্ত রয়েছে৷ সেইসাথে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে নেশা সামগ্রীও৷


ধলাই জেলার আমবাসা থানার পুলিশ এবং ট্রাফিক পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কে আমবাসার ম্যাগাজিন পাড়ায়একটি ইকো গাড়ি আটক করে প্রচুর পরিমাণ বিদেশী মদ সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে৷ জানা গেছে ট্রাফিক পুলিশ এবং আমবাসা থানার পুলিশের কাছে আগাম সুনির্দিষ্ট খবর ছিল একটি গাড়িতে করে প্রচুর পরিমাণ বিলিত মদ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷সেই সংবাদের ভিত্তিতে ট্রাফিক পুলিশের আইজির নেতৃত্বে ট্রাফিক পুলিশ এবং আমরা থানার পুলিশ আম্বর্সার ম্যাগাজিন পাড়ায় ওত পেতে থাকে৷ সন্দেহভাজন ইকো গাড়ি যখন ম্যাগাজিন পাড়ায় আসে তখন ঐ পুলিশ গাড়ির গতিরোধ করে৷ গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫৮০ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়৷ গাড়ির চালকসহ চারজন কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷তারা হলো ধন বিকাশ ত্রিপুরা, খাজারাই ত্রিপুরা, তপন জয় ত্রিপুরা এবং জয়নাল কুমার ত্রিপুরা৷ তাদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা হয়েছে৷ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে৷ পুলিশ আটক ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে৷ আটক করা বিলিতি মদের আনুমানিক বাজার মূল্য দেড় লক্ষাধিক টাকা বলে পুলিশ জানিয়েছে৷ বিলিতি মদসহ আটক মারুটি ইকো গাড়ির নম্বর টি আর ০৩ এল ০৬৩১৷ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে পুলিশ জানিয়েছে৷


এদিকে, দীর্ঘ এক বছর পর এনডিপিএস মামলার আসামি গ্রেফতার৷ তার নাম অনিমেষ পাল৷ বয়স ছত্রিশ৷ বাবার নাম অনিল পাল৷ বাড়ি কোনাবন এলাকায়৷ তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৫৬/২০২০৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত এক বছর পূর্বে সিদাই থানাধীন এলাকার মধ্যে একজন গাঁজা কারবারীকে আটক করেছিল পুলিশ৷ পরবর্তী সময়ে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে কোনাবন এলাকার অনিমেষ পাল এর নাম জড়িয়ে রয়েছে৷ কিন্তু পরবর্তী সময়ে মধুপুর থানা সেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আটক করার জন্য নোটিশ পাঠায়৷ কিন্তু দীর্ঘ এক বছর পর খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি৷ গা ঢাকা দিয়ে চলেছিল অনিমেষ পাল৷ শেষ পর্যন্ত গোপন খবরের ভিত্তিতে মধুপুর থানার পুলিশ তার নিজ বাড়ি থেকে রবিবার তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়৷ পরবর্তী সময়ে মধুপুর থানার ওসি সিদাই মোহনপুর থানার পুলিশের তুলে দেয়৷


অন্যদিকে খোয়াইয়ের এসডিপিও জানিয়েছে, গতকাল খোয়াইয়ে নেশা কারবারী কৃষ্ণ মালাকারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল৷ তার বাড়ি থেকে প্রচুর নেশা সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়৷ কৃষ্ণ মালাকারকে জেরা করে পুলিশ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে৷ তারা হল উৎপল কর, আসুতোষ দেব এবং উৎপল দে৷ তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে৷ তাছাড়া চাম্পাহাওয়রের বাসিন্দা সিপন সাওতাল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তার কাছ থেকে কিছু অবৈধ কফসিরাপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷