নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ ফেব্রুয়ারি৷৷ আগামী মঙ্গলবার বিদ্যার আরাধ্য দেবী সরস্বতী পূজা৷ বিভিন্ন সুকল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বাড়িঘরে বাগদেবী সরস্বতী পূজার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে৷ মূর্তি পাড়াতেও এখন চরম ব্যস্ততা৷ বিদ্যার আরাধ্য দেবী সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাজ্যের সর্বত্র ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে৷ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে মন্ডপ তৈরীর কাজ৷মূর্তি পাড়ায় কারিগর দের মধ্যে চলেছে চরম ব্যর্থতা৷
শেষ তুলির টানে বাগদেবী সরস্বতী চিন্ময়ী মূর্তিকে মৃণ্ময়ী করে তোলার প্রয়াস শুরু হয়েছে৷ঊনকোটি জেলার কৈলাশহর ফরেস্ট অফিস রোডের মৃৎশিল্পীরা বাগদেবী সরস্বতী মূর্তি তৈরিতে এখন চূড়ান্ত ব্যস্ত৷শিল্পী সুব্রত রুদ্র পাল জানান অন্যান্য বছরের চেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক কম সংখ্যক প্রতিমা তৈরি করছেন তিনি৷
গত বছর প্রায় পাঁচশত প্রতিমা তৈরি করেছিলেন তিনি৷ এজন্য বেশ কয়েকজন কারিগরকে কাজে লাগিয়েছেন৷ কিন্তু এবছর মূর্তির চাহিদা খুবই কম৷ গত বছরের অর্ধেক ভর্তি ও এবছর তৈরি করেননি তিনি৷এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কারিগর সুব্রত পাল জানান করোণা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত কারণে মানুষের হাতে অর্থের অভাব দেখা দিয়েছে৷ সে কারণে অনেকেই পূজা করা থেকে বিরত থাকছেন৷শুধু তাই নয় এবছর আড়াই হাজার টাকার বেশি মূর্তির অর্ডার আসেনি তার কাছে৷প্রতিমা তৈরি করেই সারাবছর জীবিকা নির্বাহ করেন সুব্রত পাল সহ এলাকার বেশ কিছু সংখ্যক লোক জন৷
এবছর মূর্তির তেমন চাহিদা না থাকায় তাদের রুটিরুজি তার পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন৷ শুধু কৈলাশহরই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে এবছর বাগদেবী সরস্বতী পূজার সংখ্যা অনেক কমে গেছে৷ আর্থিক অনটনের কারণে বাড়িঘরে এবছর বাগদেবী সরস্বতী পূজার সংখ্যা অনেক কমে গেছে৷সুকল-কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনে বাগদেবীর আরাধনা করা হলেও সংকোচনের ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে৷

