হোজাই (অসম), ১০ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : পাঁচ বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে তাকে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত জনৈক যুবককে মৃত্যুদণ্ড তথা ফাঁসির রায় দিয়েছেন হোজাইয়ের জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারপতি এন সেনাবায়া দেউরি। সাজাপ্রাপ্তের নাম চন্দন ওরফে বিক্ৰম হরিজন।
২০২০ সালের ২৬ ফেব্ৰুয়ারি হোজাইয়ে রাজ্য কাঁপানো সংগঠিত শিশুকন্যা ধৰ্ষণ ও হত্যাকাণ্ড মামলার ফাস্টট্র্যাক আদালতে বিচার প্রক্রিয়া চলছিল। ২৬ ফেব্ৰুয়ারি নন্দপুর দড়িয়াবস্তির ঘর থেকে নিখোঁজ হয়েছিল পাঁচ বছরের শিশুকন্যা পিংকলা দেবী। তার পরের দিন ২৭ ফেব্ৰুয়ারি ভোরের দিকে দড়িয়াবস্তির বাঁহনি গ্রামের এক ঝোঁপে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটির মৃতদেহ দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা খবর দেন পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ রক্তাক্ত উলঙ্গ অবস্থায় পিংকলাকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
ইত্যবসরে ওই ঘটনার প্রতিবাদে গোটা রাজ্যে ব্যাপক প্ৰতিক্ৰিয়ার সৃষ্টি হয়। ধর্ষক-খুনিকে শনাক্ত করে শীঘ্র গ্ৰেফতারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বৃহত্তর হোজাই। দফায় দফায় হোজাই থানা ঘেরাও করেছিলেন জনতা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ওই দুষ্কর্মের সঙ্গে চন্দন ওরফে বিক্ৰম হরিজন নামের যুবক জড়িত। ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যে গ্রামের মানুষ চন্দনকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। হোজাই পুলিশ ১৬৪/২০ নম্বরের এক মামলা রুজু করে দ্রুত তদন্ত প্রক্রিয়া চালায়। মামলা উঠে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে। নির্দিষ্ট সময় আদালতে অভিযুক্ত বিক্রমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
আদালত নিকৃষ্ট ঘটনাকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে ডিসেম্বর থেকে দৈনিক শুনানি গ্ৰহণ পর্ব শুরু করেন বিচারপতি এন সেনাবায়া দেউরি। আদালত ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৭৬ (এ), ৩০২, দ্য প্রটেকশন অব চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেস অ্যাক্ট (পোকসো) ২০১৯ আইনের ধারা বলে দোষী সাব্যস্ত করে শিশুর ধর্ষক ও হত্যাকারী চন্দন ওরফে বিক্ৰম হরিজনক ফাঁসির হুকুম দেন।
আজ আদালতে গ্রামের বহুজনের সঙ্গে ছিলেন উপস্থিত ছিলেন ধর্ষণ ও খুনের শিকার পিংকলা দেবীর মা। তাঁরা আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।