নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ জানুয়ারি৷৷ রাজ্যে ক্রমগত বেড়ে চলা নারী নির্যাতন রোধ করা, বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা কর সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে সামনে রেখে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হুঙ্কার মিছিল সংগঠিত করল প্রদেশ কংগ্রেস৷ যদিও এই হুঙ্কার মিছিল ও সভাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলের দাবী কংগ্রেসের চিরাচরিত শক্তি প্রদশর্শন৷
এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কোলদ্বিপ সিং নাগরা এবং সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সুষ্মিতা দেব রাজ্য সরকারের এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তিব্র বিষোদ্গার করেন৷ বিভিন্ন বিষয়ে বিজেপি সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন৷
রাজ্যের রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবং কর্ম সংস্থানের দাবীতে প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সর্ব ভারতীয় স্তরের নেতৃত্বরা রাজ্য সফরে এসে হুঙ্কার মিছিল সংগঠিত করেছে আগরতলায়৷ নারী নির্যাতন, বেকারত্ব, ১০,৩২৩ —এর উপর প্রশাসনের বল প্রয়োগ নিয়ে আওয়াজ তুলেন কংগ্রেসের নেতৃত্বরা৷ এদিন প্রদেশ কংগ্রেসর পক্ষ থেকে এক মিছিল করে রবীন্দ্র শত বার্ষিকী ভবনের সামনে পোঁছায়৷ সেখানে এক হুঙ্কার সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সভায় সর্ব ভারতীয় যুব কংগ্রেস সভাপতি শ্রীনিবাস বি ভি জানান, মহিলাদের উপর নির্যাতন রাজ্যে বেড়ে চলেছে৷ নারী নির্যাতন রুখতে প্রশাসনের কোন ব্যবসা নেই৷ সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল ঘরে ঘরে চাকুরি দেওয়ার৷ কিন্তু এই সরকারের আমলে বেকারত্ব দেশের শীর্ষ সানগুলির মধ্যে অন্যতম৷ এমনকি চাকুরিচ্যুত শিক্ষকরা দীর্ঘ দিন আন্দোলন করে চলেছেন৷
পরে সরকার তাদের উপর পুলিশ দিয়ে লাঠিচার্জ করেছে৷ অর্থাৎ গণতন্ত্র ধবংস হতে চলেছে৷ কিন্তু গণতন্ত্র ধবংস হতে দেওয়া যাবে না৷ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে বলে আওয়াজ তুলেন তিনি৷ এদিকে কংগ্রেসের ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কোলদ্বিপ সিং নাগরা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, দেশের কৃষকদের বর্তমানে মোদী সরকার যে হাল বানিয়ে রেখেছে তার জন্য এই সরকারকে পরাজিত করার আওয়াজ তুলতে আহ্বান জানান৷ কারণ, দেশের অন্নদাতা কৃষক৷ আর কৃষকদের পেটে লাথি মারছে এই সরকার৷ সরকারকে দেশবাসী ছাড়বে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি৷ এদিন সভায় বক্তব্য রাখেন অল ইন্ডিয়া মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সুস্মিতা দেব, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস প্রমুখ৷