নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ জানুয়ারি ।। আজ আগরতলায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হয়। রাজ্য বিধানসভায় প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ রেবতী মােহন দাস। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর অধ্যক্ষ প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিধানসভার সচিব বিষ্ণুপদ কর্মকার, উপসচিব সুবিকাশ দেববর্মা সহ আধিকারিক এবং বিধানসভার কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন। ত্রিপুরা বিধানসভা ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা পুলিশ এবং টি এস আর বাহিনীর জওয়ানগণ কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন।
রাজ্য সচিবালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর তিনি নিরাপত্তা কর্মীদের কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন। সচিবালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে শিক্ষামন্ত্রী শ্রীনাথ বলেন, আমাদের সংবিধানে মানবজাতির কল্যাণ ও উন্নয়নের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। ভারতের নাগরিকদের তাদের অধিকার সম্পর্কে সজাগ থাকার পাশাপাশি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের কর্তব্য পালনেও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রী আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান সচিব এল এইচ ডার্লং, সচিব টি কে চাকমা সহ সচিবালয় প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের অঙ্গ হিসেবে আজ সকালে গান্ধীঘাটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং গান্ধী বেদীতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ। পরে তিনি পােষ্ট অফিস চৌমুহনীতে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষপার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সেখানে সাংবাদিকদের সাথে কথাবলার সময় শিক্ষামন্ত্রী শ্রীনাথ বলেন, আজকের এই দিনে ভারতের সংবিধান গৃহীত হয়। সংবিধানে দেশের জনগণের জন্য অর্থনৈতিক, সামাজিক ন্যায়বিচার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষিত রয়েছে। নাগরিকদের অধিকারের পাশাপাশি নিজেদের কর্তব্য পালনেও শপথ নিতে শিক্ষামন্ত্রী সবার প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর মহকুমা শাসক অসীম সাহা এবং সৈনিক কল্যাণ বাের্ডের অধিকর্তা জে পি তেওয়ারি প্রমুখ।
প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের অঙ্গ হিসেবে আজ সন্ধ্যায় পুরাতন রাজভবনের দরবার হলে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল রমেশ বৈস, ফার্স্ট লেডি রাজ্যপাল পত্নী রম্বাই বৈস, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, মুখ্যমন্ত্রী জায়া নীতি দেব, উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা, রাজস্বমন্ত্রী নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা, জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া, সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক, বিধায়কগণ, ত্রিপুরা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি এ কে কুরেশি, ত্রিপুরা হাই কোর্টের বিচারপতি অরিন্দম লোধ এবং বিচারপতি জি এস চট্টোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব মনোজ কুমার, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক ভি এস যাদব সহ পদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

