নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ জানুয়ারি ।। ত্রিপুরাকে সমৃদ্ধ, আত্মনির্ভর ও আদর্শ রাজ্য হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। নানা প্রতিবন্ধকতা সত্বেও সরকার রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছে। আজ আসাম রাইফেলস ময়দানে ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন উপলক্ষে মূল অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে একথা বলেন রাজ্যপাল রমেশ বৈস। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, মুখ্যসচিব মনোজ কুমার, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক ভি এস যাদব ও রাজ্য সরকারের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকগণ। এই উপলক্ষে রাজ্যবাসীকে এবং সশস্ত্র বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যবাসীর কল্যাণে ত্রিপুরা সরকার কেন্দ্রীয় ও রাজ্য প্রকল্পে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, ত্রিপুরার জনসংখার শতাংশের বেশি মানুষ সরাসরি বা পরােক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল এবং রাজ্যের জিএসডিপি-তে এই ক্ষেত্রের ১৭ শতাংশ যােগদান রয়েছে। শস্য বৈচিত্র্য আনতে এবং কৃষকদের আয় বাড়াতে হাইব্রিড ভুট্টা ও উরদ ডাল চাষের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। স্বসহায়ক দলগুলির উপার্জন বাড়াতে মেশিনারি ব্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত ১৫ হাজার হেক্টর এলাকায় অর্গানিক ফার্মিং করা হচ্ছে। ২০২০-২১-এর খারিফ মরশুমে ২.০৬ লক্ষ কৃষককে প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনার আওতায় আনা হয়েছে এবং রবি মরশুমে আরও ৭০ হাজার কৃষককে এই বীমা যােজনার অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। পিএম কিষাণ-র আওতায় ২.২৬ লক্ষ কৃষকের অ্যাকাউন্টে ২৭১ কোটি টাকা জমা পড়েছে। সমস্ত কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ৫০ হাজার ভূমিহীন বর্গাদার কৃষককে নাবার্ড থেকে বিশেষ ঋণ প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে।
রাজ্যপাল বলেন, সরকার বাঁশ, চা, রাবার ও উদ্যানজাত সম্পদের ভ্যালু এডিশনে গুরুত্ব দিয়েছে। তিন জেলায় সোলার কুলিং রুম তৈরি করা হয়েছে এবং আনারস-এর যোগান সারা বছরব্যাপী নিশ্চিত রাখতে কেমিক্যাল স্ট্যাগারিং পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২০-২১ থেকে ২০২৪-২৫ সময়ে ধাপে ধাপে ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে মুখ্যম্ত্রী নিশ্চিত সেচ কর্মসূচিতে সেচের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। রাবার শিট-এর গুণমান বাড়াতে রাজ্য সরকার স্মােক হাউস নির্মাণের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে যাতে উৎপাদকদের আয়ও বৃদ্ধি পায়। ২০১৯-২১ বছরে রাজ্যে ৭৭ হাজার টন মৎস্য উৎপাদিত হয়। এই উৎপাদন আরও বাড়িয়ে রাজ্যকে মৎস্য উৎপাদনে স্বনির্ভর করতে বায়োফ্লেক ও ফেজ কালচার পদ্ধতির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রাণীপালন ক্ষেত্রে ২৫.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়।
রাজ্যপাল বলেন, দুগ্ধ উৎপাদন বাড়াতে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী উন্নত গােধন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে কৃত্রিম উপায়ে স্ত্রী বাছুর উৎপাদন বাড়ানো হবে। ডিমের উৎপাদন বাড়াতে হাঁস পালন ও ব্যাকইয়ার্ড পোস্ট্রিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ২০১৭- ১৮ বছরে ডিমের গড় যোগান ছিল ৬৭টি, এখন তা হয়েছে ৭৯টি, যা নাকি জাতীয় গড়ের সমান। মাংস উৎপাদনে রাজ্য ইতিমধ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। রাজ্যপাল বলেন, জীবিকা অর্জনের পথ খুলে দিতে এবং গ্রামীণ মানুষের মধ্যে স্বনির্ভরতার মানসিকতা জাগাতে মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যােজনা নামে একটি নতুন প্রকল্প চালু করা হবে। এই প্রকল্পে মূলত কৃষি, উদ্যান চাষ, মৎস্য চাষ ও প্রাণী পালনে সহায়তা দেওয়া হবে। ২০২২ সালের মধ্যে বাড়ি বাড়ি পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জলের সংযােগ পৌঁছে দিতে ২০১৮ সালে অটল জলধারা মিশন চালু করা হয়। এখন পর্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় ১.৭৮ লক্ষ বাড়িতে এবং শহর এলাকার ৯৮ হাজার বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পে।
রাজ্যপাল বলেন, ২০২০-এর ১৬ জানুয়ারি ভারত সরকার, মিজোরাম সরকার এবং ব্ৰ জনজাতিদের মধ্যে একটি বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যার ফলে দীর্ঘ ২৩ বছরের ব্ল শরণার্থী সমস্যার সমাধান হয়। চুক্তি অনুযায়ী ৩৪ হাজার ব্লু শরণার্থীর পুনর্বাসন দেওয়া হবে ত্রিপুরায় এবং তাদের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার ৬০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, শিল্প ও বাণিজ্যের বিকাশে বােধজংনগর এবং আর কে নগর শিল্প নগরীর পরিকাঠামো উন্নত করা হচ্ছে এবং সাব্রুম ও আগরতলা-আখাউড়া রেল জংশনে আইসিপি গড়ে তােলার পরিকল্পনা রয়েছে। দুটি নতুন সীমান্ত হাট স্থাপন করা হচ্ছে ধর্মনগর ও কমলপুরে। সাবুমে গড়ে উঠছে বিশেষ আর্থিক জোন (এসইজেড) এবং ফেণী নদীর উপর সেতু নির্মাণ শেষের পথে। এই সেতু নির্মাণ শেষ হলে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে ত্রিপুরায় ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। ইতিমধ্যে ২০২০-র জুলাইয়ে হলদিয়া বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে আগরতলায় কার্গো কন্টেইনার পৌঁছেছে। আগরতলা-আখাউড়া রেল লাইনের কাজ ২০২১-এর মার্চের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। নিশ্চিন্তপুরে একটি রেল ইয়ার্ড তৈরি হচ্ছে এবং ফেণী ও বিলোনীয়ার মধ্যে রেল যোগাযোগ গড়ে তুলতে বিদেশ মন্ত্রক এবং রেল মন্ত্রক উদ্যোগ নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল শ্রী বৈস আরও বলেন, এমবিবি বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবনের নির্মাণ কাজ শেষের পথে। সোনামুড়ার কাছে শ্রীমন্তপুরে ২০২০-র ৫ সেপ্টেম্বর ভাসমান জেটি উদ্বোধনের মাধ্যমে ত্রিপুরা আভ্যন্তরীণ জলপথের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সড়ক যোগাযোগ ও জাতীয় সড়ক দপ্তরের মন্ত্রী সম্প্রতি ২৭৫০.০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯টি জাতীয় সড়ক ও ২টি সেতু নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এগুলির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে এবং পরবর্তী বছর ৭,৫০০ কোটি টাকা বিনিয়ােগে আরও চারটি নতুন প্রকল্প শুরু করা হবে। পর্যটন শিল্পের বিকাশে ২০২০-র ফেব্রুয়ারিতে ত্রিপুরা পর্যটন নীতি ২০২০-২৫ তৈরি করা হয়। এতে পিপিপি মডেলে বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে। রাজ্য সরকার পর্যটন পরিকাঠামাের উন্নয়নে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের কাছে একটি ৫০০ কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠিয়েছে। পর্যটনের বিকাশে ২০২০-এর ফেব্রুয়ারিতে ইন্দো-বাংলা পর্যটন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল এবং পর্যটন স্থানগুলির প্রচারেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০২০-র ৫ ডিসেম্বর মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী ট্রাস্টের পোর্টাল চালু করা হয়।
রাজ্যপাল বলেন, ১ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে রাজ্যে ওয়ান ন্যাশন, ওয়ান রেশন কার্ড ব্যবস্থা চালু করা হয় যাতে ভোক্তারা যে কোনও রেশন দোকান থেকে তাদের রেশন সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারেন। কোভিড-১৯ লকডাউন সময়ে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা, আত্মনির্ভর ভারত ও মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিনামূল্যে চাল, ডাল ইত্যাদি বন্টন করা হয়। দিনরাত উন্নতমানের বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের পরিকাঠামাে উন্নয়নে একটি ৪,৬০০ কোটি টাকার পরিকল্পনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহর এলাকায়) বাস্তবায়নে ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম এবং সারা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ত্রিপুরা উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ মুক্ত (ওডিএফ) রাজ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে এবং এক্ষেত্রে উন্নততর মর্যাদা অর্জনের প্রয়াস চলছে।
রাজ্যপাল বলেন, নতুন দিশা কর্মসূচির সফল রূপায়ণের ফলে তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষণ ক্ষমতা বেড়েছে ফলে পাশের হারও বেড়েছে। মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং-এর জন্য ছাত্রছাত্রীদের তৈরি করতে সুপার ৩০ এবং আইএএস পরীক্ষার জন্য লক্ষ্য প্রকল্প চালু হয়েছে। ইতিমধ্যে লক্ষ প্রকল্পের আর্থিক সহায়তা নিয়ে একজন ছাত্রী সফল হয়েছে। রাজ্যের ১৫টি ডিগ্রি কলেজ ন্যাক-এর (এনএএসি) স্বীকৃতি লাভ করেছে এবং ২২টি ডিগ্রি কলেজে অনলাইন ভর্তি ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এবছর থেকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রবেশিকা পরীক্ষা চালু হয়েছে। রাজ্যপাল বলেন, এবছর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণ ছিলো সবচেয়ে বড় কাজ। রাজ্য সরকার কম সময়ের মধ্যে একটি কৌশল তৈরি করে ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য সমস্ত সামনের সারির কর্মীদের এবং রাজ্যের সকলের সহায়তায় এই মহামারিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। প্রায় ৯৯ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেন এবং যেসব পরিবারের এই রােগের কারণে মৃত্যু ঘটেছে রাজ্যপাল তাদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, এটা উল্লেখযোগ্য যে, ভারত কোভিডের জন্য দুটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ১৬ জানুয়ারি ভারতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রাজ্যেও টিকাকরণ শুরু হয়েছে। তিনি সমস্ত নাগরিকদের টিকাকরণে এগিয়ে এসে নিজেদের এবং রাজ্যকে এই রোগের কবল থেকে সুরক্ষিত রাখার আহ্বান জানান। যতদিন টিকাকরণ শেষ না হয় মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ইত্যাদি সাবধানতা জারি রাখতেও আহ্বান জানান রাজ্যপাল।
অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল ত্রিপুরাকে এক সমৃদ্ধ, আদর্শ ও সর্বসেরা রাজ্য বানাতে সকলকে কাজ ও কর্মসংস্কৃতি ধরে রাখার আহ্বান জানান। দেশের ঐক্য ও একতা বজায় রাখতে তিনি সমাজের সমস্ত অংশের মানুষের মধ্যে শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্বের পরিবেশ গড়ে তােলার কাজে আত্মনিয়োগ করতে আহ্বান জানান রাজ্যপাল। আজ দেশের ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবস রাজধানী আগরতলায় যথাযােগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়। আসাম রাইফেলস মাঠে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে কুচকাওয়াজে অংশ নেন সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী, আসাম রাইফেলস, সেন্ট্রাল রিজার্ভড পুলিশ ফোর্স, টিএসআর-এর প্রথম ও দ্বিতীয় বাহিনী, পশ্চিম জেলার পুরুষ ও মহিলা আরক্ষা বাহিনী, ট্রাফিক পুলিশ, ফরেস্ট প্লাটুন ও হােমগার্ডস (পুরুষ)।
কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব দেন টিএসআর দশম বাহিনীর কমান্ডেন্ট এল ডার্লং। রাজ্যপাল রমেশ বৈস কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ২০১৯ সালের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পুলিশ মেডেল ফর মেরিটোরিয়াস সার্ভিস পদক পেয়েছেন তাদের হাতে পদক তুলে দেন রাজ্যপাল রমেশ বৈস। ২০১৯ সালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই পদক পেয়েছেন প্রসেনজিৎ দে (ডিএসপি, সিকিউরিটি), শিন চরণ জমাতিয়া (হাবিলদার, টিএসআর- সপ্তম বাহিনী), শিবলাল প্রধান (হাবিলদার, টিএসআর, নবম বাহিনী) ও অশোক মজুমদার (কনস্টেবল উত্তর ত্রিপুরা জেলা পুলিশ)। আজকের অনুষ্ঠানে ২০২১ সালের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রাজ্য পুলিশের যারা রাষ্ট্রপতি পদক পেয়েছেন তাদের নাম ঘোষণা করা হয়। প্রজাতন্ত্র দিবস ২০২১-এ রাষ্ট্রপতি পদক পেয়েছেন কেশব হরি জমাতিয়া (ইন্সপেক্টর উত্তর ত্রিপুরা জেলা পুলিশ), সিদ্ধার্থ শংকর কর (ইন্সপেক্টর পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পুলিশ), গণেশ চন্দ্র দেব (সাব ইন্সপেক্টর গোমতি জেলা পুলিশ), পরিমল দাস (এএসআই, এসবি), হরিপদ ভৌমিক (এএসআই, এসবি), কৃপাময় চাকমা (এএসআই গােমতী জেলা পুলিশ) ও অখিল দেববর্মা (হোমগার্ড ভলান্টিয়ার)।
৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন উপলক্ষে আসাম রাইফেলস ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় হিন্দি, বাংলা ও ককবরকে সমবেত দেশাত্মবোধক সংগীত, দেশাত্মবােধক নৃত্য, রাজ্যের জনজাতিদের ঐতিহ্যপূর্ণ নৃত্য, ভারতীয়ম, যোগা প্রদর্শন ও কিপ ফিট অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় শচীন দেববর্মণ স্মৃতি সরকারি সংগীত মহাবিদ্যালয়, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থা ও ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকার শিল্পীগণ। ভারতীয়ম, যােগা প্রদর্শন ও কিপ ফিট অনুষ্ঠানে অংশ নেন আগরতলার বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের এবং যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের ছেলেমেয়েরা। অনুষ্ঠানে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নতুন দিল্লির রাজপথে প্রদর্শিত ত্রিপুরার ট্যাবলাে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এবারের ট্যাবলোর মুল থিম ছিলো ইকো-ফ্রেন্ডলি আত্মনির্ভর ত্রিপুরা। ট্যাবলোতে ত্রিপুরার ঐতিহ্যময় জনজাতিদের নৃত্য ও বাঁশের ব্যবহার ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

