নয়াদিল্লি, ১৯ জানুয়ারি(হি. স.): হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র সরকার । এই নীতি প্রত্যাহার করার আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা যে নতুন গোপনীয়তা নীতি নিয়ে এসেছে সে বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সংস্থাকে চিঠি লিখেছে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি মন্ত্রক। চিঠিতে এই নীতি প্রত্যাহার করার আর্জি জানিয়েছে সরকার।
তথ্য নিরাপত্তা ও ভারতীয়দের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হোয়াটসঅ্যাপের কাছে আর্জি জানিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে ১৪টি প্রশ্ন করা হয়েছে সংস্থার কাছ থেকে। এর মধ্যে রয়েছে ঠিক কী তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে, কী কী অ্যাপের বিষয় অনুমতি নেওয়া হচ্ছে ইউজারদের থেকে ও সেগুলি দিয়ে কী করা হচ্ছে সেই নিয়ে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভারতের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসির কী ফারাক আছে, সেই নিয়েও প্রশ্ন করেছে সরকার।
এদিন মন্ত্রকের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ভারতে এই মুহূর্তে য়াটসঅ্যাপের একটা বিরাট সংখ্যক ইউজার রয়েছে, যে সংখ্যাটা ৪০০ মিলিয়নও ছাড়িয়ে গিয়েছে। কেন্দ্র য়াটসঅ্যাপ লেখা চিঠিতে পরিষ্কার জানাচ্ছে, ভারতে তাঁদের বাজার বিরাট, অথচ সেই ভারতীয়দেরই সম্মান দিচ্ছে না এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম। পাশাপাশিই কেন্দ্রের হুঁশিয়ারি, ভারতের য়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা কোনও ভাবে বিঘ্নিত হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কেন্দ্র আরও জানিয়েছেন, নয়া পলিসি অনুযায়ী যেভাবে বিজনেস অ্যাকাউন্টের সঙ্গে হওয়া তথ্য ফেসবুক কোম্পানিদের দেওয়ার কথা চলছে তাহলে কার্যত হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মধ্যে কোনও ফারাক থাকবে না। এই দুটি জনপ্রিয় অ্যাপ যত সংখ্যক ভারতীয় ব্যবহার করেন, সেগুলি এক জায়গায় হলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি আরও বাড়বে। কোনও ভাবে পলিসি না মানার যে বিকল্প নেই, সেটারও সমালোচনা করা হয়েছে। এর ফলে হোয়াটসঅ্যাপ যারা ব্যবহার করেন, তাদের কাছে কোনও বিকল্প থাকবে না বলে জানায় মন্ত্রক। যেভাবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকর্তাদের জন্য আলাদা পলিসি আছে, সেই নিয়েও অসন্তুষ্ট মন্ত্রক। ভারতীয়দের গোপনীয়তার অধিকার সম্বন্ধে কী হোয়াটসঅ্যাপ সচেতন নয়, সেই প্রশ্নও করেছে মোদী সরকার।