কাল শুরু টিকাকরণ, প্রথম পর্যায়ে পাবেন ৫৫ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী

আগরতলা, ১৪ জানুয়ারি (হি. স.) ৷৷ স্বস্তির মুহুর্তের অপেক্ষায় গোটা দেশ৷ ১৬ জানুয়ারী সারা দেশের সাথে ত্রিপুরায় প্রথম পর্যায়ের করোনা-র টিকাকরণ হবে৷ ১৫২টি টিকা কেন্দ্রে ৩০৪ জন টিকা প্রদানকারী সহ মোট ৯৮০ জনের দল নিয়ে প্রস্তুত ত্রিপুরাও৷ বিশেষ টিকাকরণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্ণিত আগরতলা টাউন হল-এ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার ত্রিপুরায় এই ঐতিহাসিক কর্মসূচির সূচনা করবেন৷ প্রথম ধাপে স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ-কে টিকা দেওয়া হবে৷


এ-বিষয়ে আজ সন্ধ্যায় সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, প্রথম ধাপে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে ত্রিপুরা ৫৬৫০০ করোনা-র টিকা পেয়েছে৷ তার মধ্যে ৫৫৮২০ টিকা সারা ত্রিপুরায় সরবরাহ করা হয়েছে৷ তাঁর কথায়, পশ্চিম জেলায় ১৭৫০০, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৫৭২০, ঊনকোটি জেলায় ৩২৫০, ধলাই জেলায় ৬৩০০, খোয়াই জেলায় ৪৬৯০, সিপাহীজলা জেলায় ৫৬০০, গোমতী জেলায় ৬২৫০ এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ৬৫১০ করোনা-র টিকা ইতিমধ্যে পৌছে গেছে৷ আগামী ১৬ জানুয়ারী ওই টিকা প্রদান করা হবে৷

তিনি জানান, সারা ত্রিপুরায় ১৫২টি টিকাকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে৷ এছাড়া ১৭টি বিশেষ টিকাকরণ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে৷ এর মধ্যে অন্যতম কেন্দ্র হল আগরতলা টাউন হল৷ তিনি বলেন, ১৭টি টিকাকরণ কেন্দ্রের উদ্বোধন হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আগরতলা টাউন হল-এ টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করবেন৷ তাঁর কথায়, ১৬ জানুয়ারি ৩০৪ জন টিকা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকবেন৷ তাদের সহ পুলিশ ও অন্যান্যদের নিয়ে মোট ৯৮০ জন করোনা-র টিকাকরণ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নে নিয়োজিত থাকবেন৷


শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় বর্তমানে ৪৫৪৩২ জন স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছেন৷ তাদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ স্বাস্থ্য কর্মী-কে প্রথম ধাপে টিকা দেওয়া হবে৷ বাকিদের পরবর্তী ধাপে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে৷ স্বাস্থ্য কর্মীদের সকলকে এখনই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, কারণ প্রথম টিকা দেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় টিকা দিতে হবে৷ সে-ক্ষেত্রে যে পরিমান টিকা এসেছে তাতে সকল স্বাস্থ্য কর্মী-কে একসাথে টিকাকরণ সম্ভব হচ্ছে না৷ এদিন তিনি জানান, দ্বিতীয় ধাপে পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ান, আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান, পুর কর্মী এবং রাজস্ব দফতরের কর্মীদের করোনা-র টিকা দেওয়া হবে৷