নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ৬ জানুয়ারি৷৷ মেঘালয়ের অবৈধ কয়লা ত্রিপুরা রাজ্যে অবাধে পাচার হচ্ছে৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নামায় অবৈধ ঘোষিত থাকলেও রাজ্যের বিভিন্ন স্বার্থে কয়লা অবাধে প্রবেশ করছে৷ কিন্তু তার থেকে বড় কথা যেখানে আন্ডার লোড হয়ে কয়লা ত্রিপুরাতে প্রবেশ হওয়ার কথা সেখানে অধিকাংশ গাড়ি ওভারলোডে প্রবেশ করছে৷
অঘোষিত ভাবে রাজ্যে প্রবেশ করার নির্দেশ থাকলেও ওভারলোডে পুরোপুরি বাধা রয়েছে৷ কিন্তু একাংশ পরিবহন কর্মীরা তা মানছে কোথায় ? রাতের আধারেই হোক আর প্রকাশ্য দিবালোকে হোক সক্রিয় চক্রের হাত ধরে ওভারলোড বোঝাই কয়লা চুরাইবাড়ির বুক চিরে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে প্রবেশ করে৷
তাতে জেলার পরিবহন দপ্তরের উপর প্রশ্ণ দেখা দিচ্ছে৷ এই কাজে হাত পাকিয়ে চুড়াইবাড়ির পরিবহন দপ্তরের কর্মীরা ফুলে কলাগাছ৷ অপরদিকে রয়েছে বহিঃরাজ্য থেকে আসা বিভিন্ন ফলের গাড়ি গুলোও৷
সেগুলি ওভার উচ্চতা সমেত গাড়ি হওয়ায় পরিবহন দপ্তরে ফাইন দিতে হয়৷ কিন্তু অধিকাংশ গাড়িই বিনা ফাইনে পরিবহন দপ্তরের কর্মীদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে পার পেয়ে যায়৷ অবৈধভাবে প্রবেশ করা গাড়ি গুলি চুড়াইবাড়ি হয়ে ধর্মনগর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে চলে যায়৷ সেখানেও রয়েছে সক্রিয় একটি চক্র৷ তাদের হাত ধরেই পরিবহন দপ্তরের কর্মীদের ম্যানেজ করে বিনা বাধায় অতিক্রম করে চুরাইবাড়ি গেইট৷আর তাতে রাজ্য সরকার মোটা অর্থের রাজস্ব মার খাচ্ছে৷তবে চুরাইড়াড়ি পরিবহন দপ্তরের একাংশ কর্মী থেকে শুরু করে টিআরটিসিরর কর্মীরা জড়িত রয়েছেন সরাসরি৷
তারা রাতদিন গেইটে ডিউটি করলেও অর্থের বিনিময়ে গাড়িগুলো ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের৷ আর সেই কাজে সিদ্ধহস্ত জনা পাঁচেক গেইটম্যানও৷তারা সক্রিয় চক্রের সঙ্গে হরিহর আত্মা৷এই ভাবে উভয়ের যোগসাজশে চলছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড৷তবে এব্যাপারে লড়ি চালক বা সানীয় জনগণ মুখ খুলতে চাননি৷এখন দেখার বিষয় রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুরাইবাড়ির পরিবহন ও টিআরটিসির কর্মীদের দিকে রাজ্য সরকার কতটুকু নজর দেয়৷