নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ ডিসেম্বর৷৷ সাংবাদিক সম্মেলনে মিলিত হয়ে গৌতম দাশ যে অভিযোগ তুলেছেন তা খণ্ডন করেছেন নবেনদু ভট্টচার্য৷ পাল্টা জবাবে নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেছেন, সিপিএমের এখন অস্তিত্ব সংকট চলছে৷ তাই সিপিএম এখন আর কিছু বুঝে উঠতে পারছে না৷ মিথ্যে মনগড়া অভিযোগ করছে৷
সাংবাদিক সম্মেলনে নবেনদু ভট্টাচার্য বলেন, কূটনৈতিক সার্জিক্যাল স্টাইক করা হয়৷ আর তাতেই অপহৃতরা যেমন ফিরে এসেছে ঠিক তেমনি আরো কয়েকজন আত্মসমর্পণ করেছে৷ এই ক্ষেত্রে নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, কিভাবে তাদেরকে ফিরিয়ে আনা হলো, কিভাবে আত্মসমর্পণ করেছে তা সাংবাদিকরা অনুসন্ধানমূলক বিশ্লেষণ করলে কিংবা পুলিশ কর্তাদের কাছ থেকে তথ্য নিলেই স্পষ্ট হবে৷ তবে সিপিএম রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবতীর মৃত্যুদিন পালন না করে বিদেশের খুনিকে সন্মান জানালো৷ চিনের মাও- সেতুংয়ের জন্মাদিন পালনের কর্মসূচিকে এভাবে কটাক্ষ করলেন নবেন্দু৷ তবে বিভিন্ন জায়গায় যে ভাবে অস্থিরতার সৃষ্টি করা হচ্ছে তার জন্য সিপিএমকে দায়ী করেন নবেন্দুবাবু৷ বাংলাদেশকে চাপ দিয়ে সেই দেশ থেকে অপহৃতদের ফিরিয়ে আনা এবং উগ্রবাদীদের আত্মসমর্পণ করানোর ক্ষেত্রে উভয় দেশের সুরক্ষা বাহিনী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন নবেন্দুবাবু৷ তিনি মূলত সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাশের সাংবাদিক সম্মেলনের জবাব দিতেই সাংবাদিক সম্মেলনে মিলিত হন৷
বলেন, রাজ্যে খাদ্য নেই, কাজ নেই, সংকট চলছে বলে গৌতম দাশ যে অভিযোগ করেন সেটা সর্ববই মিথ্যা বর্তমানে রেশনে প্রচুর চাল মজুত আছে৷ অনেকে চাল গ্রহণ করছে না৷ এতেই প্রমাণ করে খাদ্য নেই, খাদ্য সংকটের অভিযোগ মিথ্যা৷ বর্তমান সরকারের সময়ে গ্রামীণ বিকাশ কিভাবে হয়েছে তাও তুলে ধরেন নাবেদদু ভট্টাচার্য৷ আত্মহত্যা নিয়ে গৌতম দাশের অভিযোগ খারিজ করে পাল্টা জবাবে নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, বামেদের আমলে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা হতো এই রাজ্যে৷ চিটফান্ডের রমরমা বামেদের আমলেই হয়েছে৷ কৃষকদের দুর্দশা বাম আমলে ছিলো৷ বাম নেতাদের কারণেই চিটফান্ড মাথাচাড়া দিয়েছে এই রাজ্যে৷ গৌতম দাশ যেন মায়া কান্না না করে পরামর্শ দিলেন নাবেনদু ভট্টাচার্য৷