রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহতদের নিকট আত্মীয়দের সরকারি চাকরির সিদ্ধান্ত

আগরতলা, ২৪ ডিসেম্বর (হি. স.)৷৷ ত্রিপুরায় রাজনৈতিক হিংসায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে তাঁদের নিকট আত্মীয়কে সরকারি চাকরি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ তার জন্য একটি স্ক্রুটিনি কমিটিও গঠন করতে আজ মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ-কথা জানিয়েছেন আইন ও শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ৷ প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৯ মার্চ পর্যন্ত রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তির পরিবারে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রশ্ণে ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ তাতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইনমন্ত্রীকে৷


মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ত্রিপুরা সরকারের কাছে রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারি চাকরির জন্য আবেদনপত্র জমা পড়েছে৷ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে এ ধরনের আবেদন জমা পড়েছে৷ তাদের পরিবারের কথা চিন্তা করে বর্তমান সরকার রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহতদের পরিবারে সরকারি চাকরি প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এজন্য গঠিত স্ক্রুটিনি কমিটিতে চেয়ারম্যান ছাড়া আইনসচিব, পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল কর্তৃক মনোনীত একজন আইজিপি, তথ্য ও সংসৃকতি দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব, গৃহ দফতরের অতিরিক্ত বা যুগ্মসচিব সদস্য হিসেবে থাকবেন৷ কমিটির কনভেনর থাকবেন তথ্য ও সংসৃকতি দফতরের অধিকর্তা৷ তাছাড়া এই কমিটি স্পেশাল ইনভাইটি হিসেবে সদস্য যুক্ত করতে পারবেন৷ এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহতদের পরিবারের যে কোনও একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে৷ তবে এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের নিয়োগনীতি অনুযায়ী আবেদনকারীর যোগ্যতা থাকতে হবে৷ ওই পরিবারে উপার্জনের অন্য কোনও মাধ্যম থাকলে উপযুক্ত বলে বিবেচনা করা যাবে না৷


তাঁর কথায়, আবেদনকারী যে জেলায় বাস করছেন ওই জেলার এসপি কর্তৃক রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা নিশ্চিত করতে হবে৷ শিক্ষামন্ত্রী জানান, আজ স্ক্রুটিনি কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ বৈঠকে রাজস্ব দফতরের বিশেষ সচিবকেও স্ক্রুটিনি কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ আজকের বৈঠকে ১০টি আবেদনপত্র স্ক্রুটিনি করা হয়৷ এর থেকে সাতটি আবেদনপত্র উপযুক্ত বলে উঠে আসলেও ছয়জন আবেদনকারীকে সরকারি চাকরি প্রদান করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে কমিটি৷ একজনের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকার কারণে ওই আবেদনপত্রটি মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য৷


তাঁর বক্তব্য, এই সম্পর্কিত আবেদনপত্র প্রতিটি মহকুমাশাসকের কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যাবে৷ ২০১৮ সালের ৯ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে যে কোনও সময়েই রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা যাবে৷ আবেদন করার পর নির্দিষ্ট গাইডলাইন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে৷ আবেদনকারীকে আবেদনের সাথে জন্মের তারিখের প্রমাণপত্র, শিক্ষা যোগ্যতার প্রমাণপত্র, পিআরটিসি, এসসি অথবা এসটি সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য হলে) নিহতের মৃত্যুর প্রমাণপত্র, নিহতের ওয়ারিশদারদের পক্ষ থেকে আবেদনকারীর প্রতি নোবজেকশন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে৷