আগরতলা, ১৬ ডিসেম্বর (হি.স.)৷৷ ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক ও দ্বাদশের পরীক্ষার জন্য নির্ঘণ্ট স্থির হয়েছে৷ সাথে ন্যূনতম পাশ মার্ক ১০০-তে ৩৩ নম্বরপ্রাপ্ত বাধ্যতামূলক৷ পাশাপাশি, পরীক্ষার ফর্ম পূরণ, প্রি-বোর্ড পরীক্ষা সহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে বুধবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথের কথায়, করোনা-র প্রকোপ না বাড়লে সিদ্ধান্ত বদল হবে না৷
এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, শিক্ষা দফতর এবং গভর্নিং বডির সদস্যরা মাধ্যমিক এবং দ্বাদশের পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক করেছে৷ বৈঠকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরায় কোনও এক অজ্ঞাত কারণে বোর্ড পরীক্ষায় পাশ মার্ক ৩৩ থেকে কমিয়ে ৩০ নম্বর করা হয়েছিল৷ এখন থেকে পুনরায় ন্যূনতম পাশ নম্বর ১০০-র মধ্যে ৩৩ করা হয়েছে৷
তিনি জানান, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের ফর্ম ১৫ জানুয়ারি থেকে পূরণ করা শুরু হবে৷ এই প্রক্রিয়া সমাপ্ত করে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে সমস্ত ফর্ম পর্ষদের কাছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পৌঁছাতে হবে৷ তিনি বলেন, এ-বছর টেস্ট পরীক্ষা হবে না৷ তবে, প্রি-বোর্ড পরীক্ষা নেওয়ার আগে ৩০ মার্চ পর্যন্ত প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন হবে৷ শুধু তা-ই নয়, ১৫ থেকে ৩০ মার্চের মধ্যে প্রাকটিক্যাল ক্লাস সমাপ্ত করতে হবে৷ তাঁর কথায়, ১ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে প্রি-বোর্ড পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ ৩০ এপ্রিল ফলাফল ঘোষণা করা হবে৷
শিক্ষামন্ত্রী এদিন সাফ জানিয়েছেন, এসাইনমেন্ট এবং ইন্টারনাল মার্ক সহ ৩০ নম্বরের কে কত পেয়েছে সে বিষয়ে ৮ মে-র মধ্যে বিদ্যালয়গুলি পর্ষদকে জানাতে হবে৷ তিনি বলেন, মাধ্যমিক ও দ্বাদশের পরীক্ষা ১০ মে থেকে ৯ জুনের মধ্যে সম্পন্ন করার বিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ তবে, সিবিএসই-কে দেখে সূচি পরিবর্তিত হতে পারে৷ এদিন তিনি জানিয়েছেন, বছর বাঁচাও যোজনার অন্তর্গত সমস্ত সুবিধা এ-বছর ছাত্রছাত্রীরা পাবে৷ তবে, কেউ চাইলে নতুন করে ভরতি হতে পারবে৷ তাঁর দাবি, করোনা-র প্রকোপ না বাড়লে আজকের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বদল হবে না৷

