নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ১৩ ডিসেম্বর৷৷ আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কে তেলিয়ামুড়া থানা এলাকার হাওয়াই বাড়িতে একটি লরি আটক করে প্রচুর পরিমাণ শুকনো গাজা উদ্ধার করেছে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ৷ট্রাফিক ডিএসপি সোনা চরণ জমাতিয়া নেতৃত্বে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ হাওয়াই বাডতে লরিটি আটক করে এই সাফল্য পান৷সংবাদ সূত্রে জানা গেছে আগরতলার মহারাজগঞ্জ বাজার থেকে লরিটি আসামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়৷
ট্রাফিক ডিএসপি সোনা চরণ জমাতিয়ার কাছে সুনির্দিষ্ট খবর আসে মহারাজগঞ্জ বাজার থেকে একটি লরি গাজা বোঝাই করে আসামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হচ্ছে৷ সেই খবরের ভিত্তিতে ট্রাফিক ডিএসপি সনাতন জমাতিয়া তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হাওয়াই বাড়িতে উৎপেতে বসে থাকেন৷আগাম খবর অনুযায়ী লরিটি হাওয়াইবাড়িতে এসে পৌঁছলে ট্রাফিক ডিএসপি সোনা চরণ জমাতিয়া লরিটি করেন৷ নন্দিনী তল্লাশি চালিয়ে মোট ৮০ প্যাকেট শুকনো গাঁজা উদ্ধার করা হয়৷ উদ্ধার করা শুকনো গাজার বাজার মূল্য কোটি টাকার উপরে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক ডিএসপি৷
লরিটি ও আটক করা হয়েছে লরির চালককেও পুলিশের হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা গ্রহণ করেছে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ৷ গাঁজা গুলি লরি বোঝাই করে আগরতলা থেকে আসামের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল৷ সুনির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানোর ফলে গাঁজ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে৷ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে পুলিশ জানিয়েছে৷
উল্লেখ্য রাজ্য থেকে প্রতিনিয়ত গাজা নানা কৌশলে সড়কপথে বহি রাজ্যে পাচার করা হচ্ছে৷রাজ্য সরকার গাঁজা চাষ এবং গাঁজা পাচার নিষিদ্ধ করা সত্বেও একাংশের অতি মুনাফালোভী মানুষজন গাঁজা চাষ এবং গাঁজা পাচার অব্যাহত রেখেছে৷ পুলিশ এ ধরনের গাঁজা চাষ এবং গাঁজা পাচার এর বিরুদ্ধে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে৷গত বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে গাঁজা চাষ বিরোধী অভিযান এবং গাঁজা পাচার বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ৷
তাতে পরপর সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছে পুলিশ৷রাজ্যেকে নেশা মুক্ত রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করার লক্ষ্যেই এ ধরনের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে বলে প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন৷উল্লেখ্য রাজ্য সরকার রাজ্যকে নেশা মুক্ত রাজ্য হিসেবে গঠন করার জন্য অঙ্গীকার গ্রহণ করেছে৷ রাজ্য সরকারের সেই প্রয়াস সফল করার লক্ষ্যেই আরক্ষা প্রশাসন কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে৷

