BRAKING NEWS

বিহারকে বাঁচাতে ভোট দিন : প্রধানমন্ত্রী

পাটনা, ২৮ অক্টোবর (হি. স.): মুখে মাস্ক দিলে করোনা থেকে নিজেকে যেভাবে রক্ষা করা যাবে। ঠিক সেই ভাবে অসুস্থতার হাত থেকে বিহারকে রক্ষা করার জন্য প্রতিটা ভোট গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।  পাটনায় নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে বিগত দেড় দশকে বিহার অপশাসন থেকে সুশাসনের দিকে এগিয়ে গিয়েছে। এনডিএ সরকারের প্রচেষ্টায় অন্ধকার থেকে আলোয়, অবিশ্বাস থেকে বিশ্বাস, অপহরণ থেকে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, অসুবিধার থেকে সুবিধার পথে অনেকটা পেরিয়ে এসেছে বিহার।  নাম না করে আরজেডি- কে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ক্ষমতায় থাকাকালীন যারা বিহারকে দীর্ঘ সময় ধরে লুট করেছে তারা গরিবদের চাহিদা পূরণ করতে পারবে না। বিহারের প্রত্যাশাকে না বুঝে যারা নিজেদের পরিবারকে বিত্তশালী করে তুলেছে। তারা বিহারকে প্রকৃত উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে পারবে না।

এই কাজটা শুধুমাত্র এনডিএ জোট সরকারি করতে পারে। রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির দিকে আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে আগে হাসপাতালের চিকিৎসক পাওয়া যেত না। এখন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং এইমস গড়ে উঠেছে রাজ্যে। ভালো সড়ক পরিকাঠামো এর ফলে যোগাযোগ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। গ্রাম গুলির সঙ্গে সহজেই সড়কপথে সংযোগ স্থাপন করা গিয়েছে। বিহারের প্রতিটি রেল স্টেশনকে উন্নতি করা হয়েছে। আগামীদিনের রাজ্যের নতুন রেলপথ তৈরি করা হবে। দলিত এবং অগ্রসর শ্রেণি মানুষের অধিকার সংরক্ষিত হয়েছে। আগে পাটনা শহরের রিং রোড এর চাহিদা ছিল। সেই চাহিদা পূরণ হওয়ার পর মেট্রো চাহিদা উঠতে থাকে। মেট্রোর কাজ বর্তমানে চলছে পাটনায়। এবার রাজ্যের অন্যান্য শহরগুলো একই চাহিদা দেখা গিয়েছে। পানীয় জল শোধন এবং স্বচ্ছতার উপর যে রাজ্য এগিয়ে গিয়েছে তার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী দিনে পাটনা শহর তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করেছে। বিগত কয়েক বছরে পাটনা, গয়া এবং মুজাফফরপুর এক ডজনেরও বেশি বিপিও গড়ে তোলা হয়েছে। শহর পাটনায় গরীব মানুষের জন্য ২৮০০০ পাকা বাড়ির মঞ্জুরি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সর্বাঙ্গীণ উন্নতিকল্পে কাজ করে চলেছে এন ডি এ সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *