গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা বাইখোরায়, খোয়াইয়ে নাবালিকা ধর্ষিতা, গ্রেপ্তার দুই

নিজস্ব প্রতিনিধি, শান্তিরবাজার/খোয়াই, ৬ অক্টোবর৷৷ ধর্ষণ ও খুনের অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করে বাইখোড়া থানার পুলিশ৷ঘটনার বিবরনে জানাযায় শান্তির বাজার মহকুমার অন্তর্গত কলসী এডিসি ভিলেজের রবিধন পাড়ার বাসিন্দা ধনঞ্জয় ত্রিপুরার সহধর্মীনি থৈয়াক্রো মগ ( ৩২ ) এর মৃত দেহ দেখতেপায় এলাকাবাসী৷ জানাযায় থৈয়াক্রো মগ জ্বালনীরজন্য লাকড়ী সংগ্রহ করতে সকালে বাড়ী থেকে বেরহয়েছে৷


কিন্তু রাত্র হবার পর ঘরে না পৌঁছানোতে ধনঞ্জয় ত্রিপুরার পরিবারের লোকজন থৈয়াক্রো মগ কে খোঁজাখুজি শুরু করেদেয়৷ পরবর্তী সময় ঐ এলাকার গভীর জঙ্গলে লেচু বাগানের মধ্যে থৈয়াক্রো মগ এর মৃতদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী৷ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বাইখোড়া থানার পুলিশ৷ পরবর্তী সময় মৃতার পরিবারের পক্ষথেকে হত্যা ও ধর্ষনের অভিযোগ এনে বাইখোড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করাহয়৷ মামলা দায়ের করা কিছুসময়ের মধ্যে অভিযুক্ত আসামী হেরন্ত ত্রিপুরা ( ২২ ) কে আটক করলো বাইখোড়া থানার পুলিশ৷ জানাযায় গত রাত্র আনুমানিক ২ ঘটিকায় অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করাহয়৷


হেরন্ত ত্রিপুরার বাড়ী ধনঞ্জয় ত্রিপুরার বাড়ীর পাশে৷ জানাযায় অভিযুক্ত হেরন্ত ত্রিপুরা বিগত দিনেও থৈয়াক্রো মগ কে নানানভাবে হেনস্তার চেষ্টা করতো৷ কিন্তু গতকালকে ধর্ষন করে হত্যাকরে গভীর জঙ্গলে মৃতদেহ রেখে আসে হেরন্ত ত্রিপুরা৷ এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানান মৃতার স্বামী ও বাইখোড়া থানার ওসি রাজীব সাহা৷ অপরদিকে উত্তর হিচাছড়া পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্ত আসামীর শাস্তি প্রদানেরজন্য বিশেষ আহববান জানান৷ অভিযুক্ত আসামীকেআজ বিলোনীয়া জেলা ও দায়রার আদালতে প্রেরন করাহবে৷ অপরদিকে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেওয়াহবে৷ জানাযায় মৃত থৈয়াক্রো মগ এর দুই ছেলে ও ছোট একটি কন্যা সন্তান রয়েছে৷ যারমধ্যে বড় ছেলে ক্লাস ৬ , ছোট ছেলে ক্লাস ২ তে পাঠরত৷ অপর দিকে ছোট কন্যা সন্তানটির বয়স এক বছর হবে বলে জানাযায়৷


খোয়াই মহাকুমার চম্পাহাওয়ার থানা এলাকা থেকে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ দ্রুত দর্শনকারী নাম বাদল সরকার৷ঘটনার বিবরণে জানা গেছে প্রায় এক মাস আগে তাদের নিকট আত্মীয় ৬ বছরের শিশু তার ঘরে গেলে সে তাকে ধর্ষণ করে৷ ধর্ষিতা শিশুকে প্রথমে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে সেখান থেকে তাকে জিবি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়৷ দীর্ঘ ৩ জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর অসুস্থ হয়ে সে বাড়িতে ফিরেছে৷
ঘটনাটি প্রথমে তার পরিবারের লোকজ রা বুঝতে পারেননি৷ শেষ পর্যন্ত শিশুটি তার মাকে ঘটনাটি জানায়৷শিশুটি জানিয়েছে বাদল সরকার নামে তাদের নিকট আত্মীয় তাকে ধর্ষণ করে ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য বলে৷ ঘটনাটি কাউকে জানালে পরিণতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল৷ সে কারণেই ভয়েসে ঘটনায় কাউকে জানানোর সাহস পায়নি বলে জানিয়েছে৷ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অবহিত হওয়ার পর পরিবারের তরফ থেকে বাদল সরকারের নামে মামলা দায়ের করা হয়৷ পুলিশ পকসো আইনে মামলা গ্রহণ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ ইতিমধ্যে অভিযুক্ত বাদল সরকার কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ৷ তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোরালো দাবি উঠেছে৷