নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ অক্টোবর৷৷ উত্তরপ্রদেশের হাথরাশ-র ঘটনায় ত্রিপুরায় সত্যাগ্রহ আন্দোলন করেছে প্রদেশ কংগ্রেস৷ আজ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযুষ বিশ্বাসের নেতৃত্বে দলীয় নেতা-কর্মী ঘন্টা খানেক ওই আন্দোলন সংগঠিত করেছেন৷ নীরব সত্যাগ্রহের মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ-র মুখ্যমন্ত্রী পদে পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি৷ হাথরাশ-এ বীভৎস ঘটনা এবং তার পরবর্তী প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী-কে শারীরিকভাবে নিগৃহীত করায় ক্ষোভ প্রকাশে সত্যাগ্রহ আন্দোলন পালন করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি৷
এদিন তিনি বলেন, উত্তর প্রদেশের হাথরাশ-এ ১৯ বছরের এক নাবালিকা-কে গণ ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে৷
অথচ, যোগী প্রশাসন অপরাধীদের আড়াল করার সবর্োত চেষ্টা চালিয়েছে৷ তিনি অভিযোগ করে বলেন, উত্তর প্রদেশে গুন্ডারাজ কায়েম হয়েছে৷ জেলাশাসক নির্যাতিতার পরিবার-কে শাসাচ্ছেন৷ অথচ, প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷ তাঁর কটাক্ষ, অপরাধীদের মদত দেওয়ার জন্য ময়না তদন্তের পর ওই নাবালিকার মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি৷ বরং, রাতের অন্ধকারে মৃতদেহ পুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ৷
তিনি বলেন, ওই ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারের সাথে দেখা করতে গিয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদিকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-কে উত্তর প্রদেশ পুলিশ বাধা দিয়েছে৷ শুধু তাই নয়, রাহুল গান্ধী-কে শারীরিকভাবে নিগৃহীত করেছে পুলিশ৷ তিনিঁ সুর চড়িয়ে বলেন, উত্তর প্রদেশ সরকার বিরোধীদের গণতান্ত্রিক এবং রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে৷ তবুও থেমে যাননি রাহুল গান্ধী৷ তিনি জানান, ৩৫ জন সাংসদ-কে নিয়ে রাহুল গান্ধী নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছেন এবং ঘটনার ভয়াবহতা শুনেছেন৷
ওই সমস্ত ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে আজ প্রদেশ কংগ্রেস নীরব সত্যাগ্রহ পালন করছে বলে জানান পীযুষ বিশ্বাস৷ তিনি দাবি করেন, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করুক যোগী আদিত্যনাথ৷ নইলে, এধরণের আন্দোলন জারি রাখবে প্রদেশ কংগ্রেস৷