ত্রিপুরা সহ পূর্বোত্তরের রাজ্যগুলিতে অক্টোবরের শুরুতেই ভারী বৃষ্টিপাত

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ সেপ্ঢেম্বর৷৷ ত্রিপুরা ও অসম সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যকে অক্টোবরের শুরুতেই বেসামাল করে দেবে ঝড়-বৃষ্টির ঝাপ্ঢা৷ অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মণিপুর এবং ত্রিপুরার জন্য আবহাওয়া দফতর ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে৷ ঝড়ের সাথে বজ্রবৃষ্টি করোনা-প্রকোপের মধ্যে ওই সকল রাজ্যের জন্য বাড়তি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ বিশেষ করে, মেঘালয়ে এ বছর বর্ষার মরশুমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সমস্ত রাজ্যের তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে৷ ফলে, ১ অক্টোবর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুযর্োগ কীভাবে মোকাবিলা করবে রাজ্যগুলি তা নিয়েও সংশ্লিষ্ট দফতরে তৎপরতা শুরু হয়েছে৷


আবহাওয়া দফতরের দাবি, বুধবার সকাল অবধি অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের নিকটবর্তী পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থিত একটি ঘূর্ণিঝড় প্রচলনের কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে৷ তার প্রভাবে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গেও ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে জানানো হয়েছে৷ আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকেই নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে৷ আগামী বৃহস্পতিবার সেই পরিস্থিতি আরও পরিবর্তন হবে৷ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ক্রমশ বাড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷

প্রসঙ্গত, ১ জুন থেকে ২৯ সেপ্ঢেম্বর পর্যন্ত অরুণাচল প্রদেশে ১৯৩৫.৬ এমএম, অসমে ১৬৫১.২ এমএম এবং ত্রিপুরায় ১৩০১.৪ এমএম বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে৷ বর্ষা মরশুমে এই পরিমাণ বৃষ্টি স্বাভাবিক বলেই গণ্য করে আবহাওয়া দফতর৷ তেমনি, নাগাল্যান্ডে ৮০৩ এমএম, মণিপুরে ৭৪৪.৭ এমএম এবং মিজোরামে ১০৮৮.৫ এমএম বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে৷ এই মরশুমে ওই তিনটি রাজ্যে বৃষ্টিপাতে ঘাটতি রয়েছে৷ তবে, মেঘালয়ে বর্ষা মরশুমে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে৷ ওই সময়ের মধ্যে মেঘালয়ে ৩,৯৮২ এমএম বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে৷ মরশুমের গড় বৃষ্টিপাতের হিসাবে মেঘালয়ে অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে৷ তাতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে৷ বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে৷ অসমেও ১২টি জেলা বন্যা কবলিত৷ তাতে ৩.১৭ লক্ষ মানুষ বন্যায় প্রভাবিত হয়েছেন৷