নয়াদিল্লি, ২৪ সেপ্টেম্বর (হি. স.): সামনে শীতকাল। পূর্ব লাদাখের হিমালয়ের পর্বত শৃঙ্গে তীব্র শীতে বাড়তি সেনা মোতায়েন না করার জন্য কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে ভারতের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছে চিন। কিন্তু লালফৌজের গতিবিধির ওপর ক্রমাগত নজর রেখে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।কারণ এর আগে একাধিক বৈঠকে কথা দিয়েও সেই মত কাজ করেনি চিন।তাই বর্তমানে চূড়ান্ত সতর্ক ভারত। পদাতিক বাহিনীকে যথাসম্ভব সহায়তা করার জন্য পূর্ব লাদাখে অতন্দ্র প্রহরীর মতন প্রহরা দিয়ে চলেছে বায়ুসেনা।
শুধু দিন নয় রাতের আকাশের গর্জন করে চলেছে বায়ুসেনার জেট ফাইটার। বুধবার রাতে পূর্ব লাদাখের আকাশে টহল দিয়ে বেরিয়েছে রাফাল, মিরাজ ২০০০, মিগ ২৯, সুখোই ৩০ এম কে আই এর মতন যুদ্ধবিমান। ডিআরডিও তরফে সুখোই ৩০ এম কে আই এর সাইলেন্সার প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখা হয়। অর্থাৎ কোন রকমের শব্দ না করেই সুখোই শত্রুপক্ষের সীমান্তে প্রবেশ করে ধ্বংসলীলা শুরু করে দিতে পারে|
চিন লাগোয়া সীমান্তের চূড়ান্ত আউটপোস্টগুলিতেও নজরদারি আঁটোসাঁটো করেছে ভারত। পূর্ব লাদাখে সীমান্তবর্তী এলাকায় সামরিক উত্তেজনা কম করার জন্য ২১ সেপ্টেম্বর কোর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকে বসে ভারত এবং চিন। সামনে শীতকাল সেই উপলক্ষে সীমান্তে বাড়তি সেনা মোতায়েন না করার প্রস্তাবে রাজি হয় লাল ফৌজ। বৈঠকে চিনকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে ভারত জানিয়ে দিয়েছে যে এক ইঞ্চিও পিছু হটবে না ভারতীয় সেনা।
অন্যদিকে চিনের গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্য বুধবার রাতে পূর্ব লাদাখের আকাশে টহল দেয় ভারতীয় যুদ্ধবিমান।