টোকিও, ১৬ সেপ্টেম্বর (হি.স.): জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্য ক্যাবিনেট সচিব ইয়োশিহিদে সুগা। ইয়োশিহিদে সুগাকে জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী এবং শিনজো আবার উত্তরসূরী হিসেবে বুধবার মনোনীত করেছে জাপানের পার্লামেন্ট। এক-দুই বছর নয়, প্রায় আট বছর পর নয়া প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার পথে জাপান। ৭১ বছর বয়সী সুগা অতি সহজেই, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ৪৬২-র মধ্যে ৩১৪টি ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। নিম্নকক্ষে তাঁর দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিই সংখ্যাগরিষ্ঠ, ফলে জয়লাভ সহজই ছিল। ভোটগণনা শেষে নিম্নকক্ষের স্পিকার তাদামোরি ওশিমা জানিয়েছেন, ফলাফল অনুযায়ী, ইয়োশিহিদে সুগাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নিয়েছে আমাদের কক্ষ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ইয়োশিহিদে সুগা। সম্প্রতি শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন আবে। ২০১২ সালে শিনজো আবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন সুগা। আবের গোটা শাসনকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এ সময় তার ক্ষমতাকে অনেকটা চিফ অব স্টাফ ও প্রেস সচিবের সমন্বয় বলা চলে। গত সোমবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা নির্বাচিত হন সুগা।
ক্ষমতায় চূড়ায় পৌঁছানোর এই সুদীর্ঘ যাত্রাপথ মোটেও সুগম ছিল না ইয়োশিহিদে সুগার জন্য। জাপানের আকিতা অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় একটি কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা ছিলেন স্ট্রবেরি চাষি। হাইস্কুল পার করেই রাজধানী টোকিওতে পাড়ি জমান ইয়োশিহিদে সুগা। সেখানে পড়াশোনার খরচ জোগাতে কার্ডবোর্ড ফ্যাক্টরি ও মাছের বাজারে কাজ করেছেন তিনি। গ্রাজুয়েশন শেষে চাকরি জীবনে প্রবেশ করেন সুগা, তবে সেখানে মন টেকেনি। বিশ্বকে বদলে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে পরে যোগ দেন রাজনীতিতে। আশির দশকের শেষের দিকে ইয়োকোহামার সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন ইয়োশিহিদে সুগা। সেই সময় রাজনৈতিক যোগাযোগ বা অভিজ্ঞতা কোনওটাই খুব বেশি ছিল না তাঁর। শুধু ছিল দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের মনোবল।