থাকা করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রাখা এবং অক্সিজেন সাপ্লাই এই ১০টি বিষয়কে আলাদা করে ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১০ আইএএস ও ১০ চিকিৎসককে৷ মঙ্গলবার এই ১০ আইএএস ও ১০ চিকিৎসকের নম্বর রাজ্য সরকারের তরফে জারি করা হবে৷ এদিনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী দুদিনের মধ্যে রাজ্যে প্লাজমা থেরাপির প্রক্রিয়া শুরু হবে৷
এদিনের বৈঠকে ত্রিপুরার মৃতু হার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব৷ কী ভাবে এই মৃত্যু হার দ্রুত কমিয়ে আনা যায় সে ব্যাপারেও চিকিৎসকদের সার্বিক উদ্যোগ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর লক্ষ্য, ত্রিপুরার এক জন মানুষও যেন করোনায় মারা না যান৷ তাঁর কথায় প্রতিটি মৃতুই হৃদয় বিদারক৷ রাজ্য সরকার আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রোগী কল্যাণ সমতির চেয়ারম্যানকে জিবি পন্থ হাসপাতালে সপ্তাহে পাঁচ দিন বসতে হবে৷সেখানে সশরীরে উপস্থিত থেকেই রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানকে চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত ব্যবস্থা তত্বাবধান করতে হবে৷ একই সঙ্গে ওয়ার্ড, ক্যাসুয়ালটি ওয়ার্ড এবং ওপিডি স্থানান্তরিত করা হবে আইজিএম হাসপাতালে৷ বেসরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছেএদিন৷ রাজ্য সরকার ঠিক করেছে, যদি কোনও বেসরকারি হাসপাতাল চায় তারা করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করবে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য প্রশাসন অনুমতি দিয়ে দেবে৷ সেইসঙ্গে ত্রিপুরা সরকার এও ঠিক করেছে, আগরতলার ১৭টি বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে যাপিড ত্যান্টিজেন টেস্টেও সুবিধা চালু করা হচ্ছে৷ যে কোনও নাগরিক ৭৫০ টাকা দিয়ে সেই টেস্ট করাতে পারবেন৷ রিপোর্ট পজিটিভ এলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের সঙ্গে পরামর্শ করে হোম আইসোলেশন বা পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে৷ সেন্টারে এই মুহুর্তে ২৫০টি বেডে কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে৷ এর মধ্যে ৫০টি বেড অক্সিনেটেড৷ যার মধ্যে ৩০টি পুরুষরোগীদের জন্য বরাদ্দ ও ২০টি মহিলা রোগীদের জন্য৷ কৈলাশহর, গোমতী চন্দ্রপুর এবং ধর্মনগরেও যথাক্রমে ৫০, ২০ এবং ১৫টি বেডে কোভিড রোগীদেও চিকিৎসা শুরু হয়েছে৷
আইএলএস হাসপাতালে ৪৭টি বেডে কোভিড চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ আমবাসাতেও নতুন করে কোভিড হাসপাতাল শুরু হতে চলেছে৷ সংক্রমণ রুখতে ও সংক্রামিতদের যথাযথ চিকিৎসা পরিষেবা দিতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার৷ সেই কারণেই উপরিলিক্ষিত সিদ্ধান্তগুলি গৃহীত হয়েছে প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায়৷ আগরতলার যে ১৭টি স্বাস্ত্য প্রতিষ্ঠানে যাপিড ত্যান্টিজেন টেস্ট হবে সেগুলি হল- আইএলএস হাসপাতাল, লাইফলাইন নার্সিংহোম ত্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, দেবলোক হাসপাতাল, আশা চাইন্ড কেয়ার নার্সিংহোম ও রিসার্চ সেন্টার,কেয়ার ত্যান্ড কিওর পলিক্লিনিক ও নার্সিংহোম, আগরতলা হাসপাতাল ও রিসার্চ সেন্টার, ট্রপিক্যাল অথর্োপেডিক ত্যান্ড রিলেটেড রিসার্চ সেন্টার, ভলান্টিয়ারি হেলথ আ্যাসোসিয়েশন অফ ত্রিপুরা, সেন্ট জোসেফ হাসপাতাল, নাইটেঙ্গেল নার্সিংহোম, টেরেসা হেলথ সেন্টার, অথর্ো কেয়ার ত্যান্ড রিলেটেড সেন্টার৷