জাতীয়তাবাদ প্রসঙ্গে কঙ্গনার পাশে হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী

নয়াদিল্লি, ২৩ আগস্ট (হি. স.): বরিষ্ঠ বিজেপি নেতা তথা হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শান্তা কুমার জানিয়েছেন, হিমাচলের বীরাঙ্গণা কন্যা কঙ্গনা রানাওয়াত একবার ফের বড় সাহসের সঙ্গে ঘোষণা করে সকলকে চমকে দিয়েছেন। কিছু লোক তার প্রতি অভিযোগ তুলেছিল যে সে বিশেষ এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে।এর পাল্টা কঙ্গনা টুইট করে জানিয়েছেন, “হ্যাঁ আমার এজেন্ডা হচ্ছে, জাতীয়তাবাদ, জাতীয়তাবাদ, জাতীয়তাবাদ।”
শান্তা কুমার জানিয়েছেন চলচ্চিত্র জগতের এক শিল্পীর কাছ থেকে এমন প্রত্যাশা কোনদিন করা যেত না।সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুরহস্য নিয়েও কঙ্গনা সবার আগে এবং খুব স্পষ্টভাবে ও অতিমাত্রায় সরব হয়েছিলেন। এখন সেই রহস্য সমাধানের জন্য সিবিআই কাজ করে চলেছে।

জাতীয়তাবাদ হচ্ছে ভারতের প্রাণ, আত্মা এবং সনাতন ধর্মের ভিত্তি। ভারতের জাতীয়তাবাদ কেবল ভৌগলিক নয়, তা সাংস্কৃতিক। জাতীয়তাবাদের এই ঘোষণা কোন ব্যক্তি বা দল নয় স্বয়ং প্রভু রাম করেছিলেন বহু যুগ আগে। বাল্মিকী রামায়ণ অনুসারে রাবণকে বধ করে রাম যখন লঙ্কা জয় করেছিলেন।তখন লক্ষণ বলেছিলেন, “দাদা এখন সোনার লঙ্কা আমাদের।অযোধ্যায় যাওয়ার আর প্রয়োজন নেই।এখানেই রাজত্ব করা যাক।.” এর উত্তরে ভগবান রাম বলেছিলেন, ” জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী ” অর্থাৎ নিজের মাতৃভূমি স্বর্গ থেকেও ভালো হয়।এটাই হচ্ছে ভারতের জাতীয়তাবাদ।

শান্তা কুমার আরও জানিয়েছেন,ভারতের সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ চিরকাল মানবতাবাদে ভরা। সেই কারণে কয়েক হাজার বছর আগে ভারতের ক্ষত্রিয়রা ঘোষণা করেছিলেন বসুধৈব কুটুম্বকম। অর্থাৎ গোটা বিশ্ব একটা পরিবার। সেই কারণেই শক্তিশালী হওয়া সত্বেও ভারত অন্য কোন দেশকে তাদেরকে উত্যক্ত করেনি। কখনও কোন কিছু অধিকার করেনি। বরাবর মানবতাবাদের বাণী সে বলে গিয়েছে।নিজের থাইল্যান্ড সফরের প্রসঙ্গ তুলে ধরে শান্তা কুমার বলেছেন যে সেখানে মানুষ এখনও হিন্দুধর্মকে নিজের সংস্কৃতি বলে মনে করে। এখনও সেখানে একটি শহরের নাম তারা অযোধ্যা রেখেছে।