পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে ত্রিপুরা নতুন দিকে অগ্রসর হচ্ছে : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ আগস্ট৷৷ কোন রাজ্যকে উন্নতির পথে নিয়ে যেতে হলে ঐ রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কিভাবে করা যায় সেই পথ সুুগম করতে হবে৷ বর্তমান সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে৷ আজ সচিবালয়ে সিঙ্গেল উইণ্ডো অ্যাপ্রভাল বাই অল গভর্নমেন্ট এজেন্সিস অব ত্রিপুরা-র (SWAAGAT) ওয়েব পোর্টাল এর উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ তিনি বলেন, এই পোর্টাল চালু হওয়ার ফলে শিল্পোদ্যোগীদের শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অনুমতি ও লাইসেন্স এক জায়গা থেকে অনলাইনেই পাওয়া যাবে৷ তিনি বলেন, এই ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে ১৬ টি দপ্তরের ৫২টি পরিষেবা অনলাইনেই পাওয়া যাবে৷ আগে শিল্প স্থাপনের জন্য অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দপ্তরে যে জটিল ব্যবস্থা ছিল, তার অবসান হয়েছে এই পোর্টাল চালুর মধ্য দিয়ে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষিত ত্রিপুরার হাইওয়ে, ইন্টারনেটওয়ে, রেলওয়ে এয়ারওয়ে অর্থাৎ হীরা এর সাথে ওয়াটারওয়ে কানেকটিভিটিও যুক্ত হয়েছে৷ সাবমের স্পেশাল ইকনোমিক জোন, ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টের মতো পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে ত্রিপুরা নতুন দিকে অগ্রসর হচ্ছে৷


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর বিভিন্ন নতুন নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ রাজ্যের মানুষের মধ্যে স্ব-নির্ভর হওয়ার মানসিকতা তৈরী হয়েছে৷ রাজ্যের যুবকরা স্ব-উদ্যোগী হতে চাইছে৷ এর ফলে শিল্পের সংখ্যাও বেড়েছে৷ বেড়েছে স্বরোজগারী যা রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাপকাঠি৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গেল উইণ্ডো সিস্টেম চালু হওয়ার ফলে যারা নিজের পায়ে নিজে দাঁড়াতে চায় তাদের জন্য সুুবিধা হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিল্পোদ্যোগীদের সহায়তা করার জন্য শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তর ও ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগম থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাবসিডিরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷

অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায় বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিল্প উদ্যোগীদের মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতা তৈরি হয়েছে৷ তিনি জানান, আগে বিভিন্ন বন্ধ হওয়া শিল্পগুলির প্রায় ৭০ শতাংশ পুনরায় চালু হয়েছে৷ তিনি বলেন, শিল্প স্থাপনের জন্য শিল্প এলাকাগুলিতে যে শেডগুলি তৈরি করা হয়েছে তার বেশিরভাগই চালু হয়েছে৷ শিল্প এলাকায় শেড ভাড়া নেওয়ার জন্য ছোট ছোট শিল্প উদ্যোগীদের সুুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে৷ মহিলা উদ্যোগীদের জন্য সুুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে৷ ছোট উদ্যোগীদের জন্য কম বাজেটে অর্থাৎ ২ লক্ষ টাকা সিকিউরিটি ও ৫ হাজার টাকা মাসিক ভাড়া দিয়ে যে শেড ভাড়া নিতে পারে তার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ এর জন্য নতুন নতুন শেড তৈরি করা হয়েছে৷ ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে শিল্পক্ষেত্রে আমদানী ও রপ্তানী অনেক বেড়েছে৷ তিনি জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমদানীর পরিমাণ ছিল ৩৪০ কোটি এবং রপ্তানী ছিল ৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার৷ ২০১৮-১৯-এ আমদানী ৫৫০ কোটি টাকা এবং রপ্তানী ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ছিল৷ ২০১৯-২০ সালে আমদানী ৬৫০ কোটি টাকা ও রপ্তানী ৩০ কোটি টাকারও বেশি৷ এদিনের অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে এবং অধিকর্তা প্রশান্ত কুমার গোয়েল৷ এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *