আগরতলা, ১৪ আগস্ট (হি. স.) : আগামী ১৭ আগস্ট কালো দিবস পালন করবে চাকমা জনগোষ্ঠী৷ তবে, করোনা-র প্রকোপে এবার সাংকেতিক কালো দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁরা৷ ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় ৯৮.৫০ শতাংশ অমুসলিম অধ্যুষিত পার্বত্য চট্টগ্রাম-কে অন্যায় ভাবে পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্তি দেওয়ার প্রতিবাদে প্রতি বছর উত্তরপূর্ব ভারতের অসম, অরুনাচল প্রদেশ, মিজোরাম ও ত্রিপুরায় বসবাসকারী চাকমা জনগােষ্ঠী ১৭ আগস্ট দিনটিকে কালাে-দিবস হিসেবে পালন করছে৷ ২০১৬ সালের ২৪-২৫ মার্চ গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত চাকমা ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া-র বাৎসরিক জাতীয় অধিবেশনে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল৷ কোলকাতা, নতুন দিল্লি, মুম্বাই, ব্যাঙ্গালুরু শহরে বসবাসকারী ছাত্রছাত্রী সহ কর্মজীবী চাকমা জনগোষ্ঠীর মানুষ ওই দিনটি পালন করছেন৷
সংগঠনের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক উদয়জ্যোতি চাকমা বলেন, বহু আন্দোলন, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের ফলে দীর্ঘ প্রায় দু’’শ বছর ব্রিটিশ পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত করে ভারতবর্ষের আপামর জনগণ ১৯৪৭ সালে ১৫ আগস্ট পরম আকাঙ্খিত স্বাধীনতা অর্জন করেছিল৷ ওই পবিত্র দিনে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে চাকমা জনগোষ্ঠী ভারতের জাতীয় পতাকা স্বগর্বে উত্তোলন করেন৷ কিন্তু ১৯৪৭ সালের ১৭ আগস্ট সরকারিভাবে বেতারযােগে জানা গেল ৯৮.৫০ শতাংশ অমুসলিম অধ্যুষিত পার্বত্য চট্টগ্রামকে অন্যায়ভাবে পাকিস্তানের আন্তর্ভূক্তি দেওয়া হয়েছে৷ তখনই নতুন করে কালো অধ্যায়ের হয়েছিল বলে আমরা মনে করি৷ তাই, আমরা প্রতীকী কালো দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷
তাঁর কথায়, প্রতি বছরের ন্যায় এ-বছরও ওই দিনটি কালাে দিবস হিসাবে পালিত হবে৷ তবে, এ-বছর আনুষ্ঠানিক ভাবে মিছিল বা সমাবেশ করা হবে না৷ শুধুমাত্র সাংকেতিক হিসাবে পালিত হবে৷ কারণ, বর্তমানে করোনা অতিমারী ভারত সহ সমগ্র বিশ্বে মানব সভ্যতার উপর বিরাট ছমকি হয়ে দাড়িয়েছে৷ এই অতিমারী থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং নির্দেশিকা জারি করেছে৷ তাই, সাংকেতিক কালো দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে, বলেন তিনি৷