কলকাতা, ১৩ আগস্ট (হি. স.) : করোনাযুদ্ধে এবার নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তির প্রকাশ ঘটাতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এখানকার ইনস্ট্রুমেন্টেশন বিভাগের পড়ুয়ারা উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন একটি বৈদ্যুতিন মাস্ক তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে। নকশা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। আইসিএমআর-এর অনুমোদনের অপেক্ষায়। তা মিললেই শুরু হয়ে যাবে উৎপাদন। খবর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে।
করোনা ভাইরাস রুখতে মাস্ক এখন বাধ্যতামূলক। তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের মাস্ক। কোনওটা ফ্যাশানেবল, কোনওটা হাইটেক। মৌলিক আবিষ্কার, উদ্ভাবনীতে বরাবরই এগিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানকার মুক্তশিক্ষার পরিবেশ, শিক্ষক-পড়ুয়ার সুসম্পর্ক, স্রেফ পুঁথিগত শিক্ষায় পড়ুয়াদের সীমাবদ্ধ না রেখে নিজেদের মতো ভাবনার অবকাশ দেওয়া, উৎসাহ প্রদান – এমন বেশ কিছু ফ্যাক্টরই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মেধাবিকাশের পক্ষে সহায়ক। সত্যিই যে সেখানকার ছাত্রছাত্রীরা গবেষণামূলক কাজে অনেকের চেয়ে অনেক এগিয়ে, সম্প্রতি তারও প্রমাণ মিলল।
এন ৯৫ মাস্ক ব্যবহারে প্রথমদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জোর দিলেও, পরে জানানো হয়, ওই বিশেষ মাস্ক সকলের ব্যবহারের জন্য ঠিক নয়। ত্রিস্তরীয় সার্জিক্যাল মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কেউ বা সুতির মাস্কের পক্ষপাতী। এ সবের মাঝে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্ট্রুমেন্টেশন বিভাগের পড়ুয়ারা যে মাস্ক তৈরি করছেন, তা এসবের উর্ধেব – উচ্চপ্রযুক্তির বৈদ্যুতিন মাস্ক। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এই মাস্কের তড়িৎ-চৌম্বকীয় প্রভাব ভাইরাস মেরে ফেলতে সক্ষম হবে। ফলে এই মাস্ক পরলেই মারণ জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে সফল হতে পারবেন যে কেউ, এমনই দাবি গবেষক-পড়ুয়াদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ”ইলেকট্রনিক মাস্কের নকশা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন ইনস্ট্রুমেন্টেশন বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। অনুমোদনের জন্য আমরা আইসিএমআর-এর কাছে আবেদন জানিয়েছি। ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আছি। তা মিললেই উৎপাদন শুরু হবে।” এই হাইটেক মাস্কের কত দাম হবে, তা কেমন দেখতে হবে, কতই বা তৈরি হবে, সে বিষয়ে এখনই কিছু জানা যাচ্ছে না।