আগরতলা, ১০ আগস্ট (হি.স.)৷৷ সারা দেশের তুলনায় ত্রিপুরা করোনা আক্রান্তের সুস্থতার নিরিখে চতুর্থ স্থানে রয়েছে৷ এমন-কি, নমুনা পরীক্ষায় মাত্র চারটি রাজ্য ত্রিপুরা থেকে এগিয়ে রয়েছে৷ পরিকাঠামোগত ত্রুটি সত্ত্বেও ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরা কঠোরভাবে করোনা মোকাবিলা জারি রেখেছে৷ সোমবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ-কথা জোর গলায় দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ৷
এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্তের সুস্থতার হার ৭৫ শতাংশ৷ সে দিক দিয়ে সারা দেশে সুস্থতার হারে ত্রিপুরা থেকে এগিয়ে রয়েছে দিল্লি, গুজরাট এবং তামিলনাড়ু৷ তাঁর দাবি, দেশের ৩২ রাজ্যের তুলনায় ত্রিপুরা সুস্থতার হারে এগিয়ে রয়েছে৷ এক্ষেত্রে দিল্লি ৮৯.৮০ শতাংশ, তামিলনাড়ু ৮০.৩৮ শতাংশ এবং গুজরাতে ৭৬.৩২ শতাংশ সুস্থতার হার রয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, করোনা আক্রান্তের হারে জাতীয় গড় যেখানে ৯.০২ শতাংশ, ত্রিপুরায় ওই হার ৩.০৬ শতাংশ৷ এদিকে, করোনা আক্রান্ত মৃতের দিক দিয়েও ২১টি রাজ্যের তুলনায় ভালো অবস্থায় রয়েছে৷
এদিকে, নমুনা পরীক্ষায় ত্রিপুরা থেকে মাত্র চারটি রাজ্য এগিয়ে রয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নমুনা পরীক্ষায় জাতীয় গড় প্রতি লাখে ১৭,৮১৪৷ সে তুলনায় ত্রিপুরায় নমুনা পরীক্ষায় গড় প্রতি লাখে ৫০,৭২৪৷ তিনি বলেন, নমুনা পরীক্ষায় লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, দিল্লি এবং গোয়া এগিয়ে রয়েছে৷ এদিকে, ত্রিপুরায় ১ আগস্ট থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত ৩১,২২৭ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গড়ে প্রতিদিন ৩,৪৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছে স্বাস্থ্য দফতর৷
শিক্ষামন্ত্রী এদিন কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর বিস্তারিত হিসাব দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ২৮,৯৩৯টি অ্যান্টিজেন কিট এবং ৫,০১৬টি আরটি-পিসিআর কিট মজুত রয়েছে৷ আরও ৫০ হাজার অ্যান্টিজেন কিটের অর্ডার দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর দাবি, পিপিই কিট যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে এবং ভেন্টিলেটর ৯৮টি ও ৪১৪টি অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত আছে৷

