আগরতলা, ৯ আগস্ট (হি. স.)৷৷ নৌ পরিবহনে-র সহায়তায় ত্রিপুরায় পণ্য আমদানি-রফতানির লক্ষ্যে নদীপথ পরিদর্শন করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ৷ সংস্থার পদস্থ আধিকারিক-রা আগামী ১১ আগস্ট ওই নদীপথ পরিদর্শন করবেন৷ তাতে, সবুজ সংকেত মিললে তবেই পণ্য পরিবহন শুরু হয়ে যাবে৷ ভারত সরকার চাইছে, নদীপথে ত্রিপুরায় এখনই পণ্য পরিবহন শুরু হোক৷ তাই, সোনামুড়া-দাউদকান্দি নদীপথে পণ্য পরিবহনে এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে হচ্ছে৷
সম্প্রতি ওয়েবিনারে আলোচনায় চলতি মাসেই দাউদকান্দি থেকে সোনামুড়া পর্যন্ত ছোট ভেসেল (জলযান)-এ পরীক্ষামূলক পণ্য আমদানির বিষয়ে ইন্দো-বাংলা উভয় দেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছে৷ দাউদকান্দি-সোনামুড়া নদীপথে পণ্য আমদানি- রফতানির জন্য প্রযুক্তিগত, বাণিজ্যিক, নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক এবং পদ্ধতিগত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ওইদিন বৈঠকে আলোচনা হয়েছে৷ ৯৩ কিমি দীর্ঘ নদীপথে পণ্য আমদানিতে সময় এবং আর্থিকভাবে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন৷ ওই নদীপথে ছোট ভেসেলে ৫০ থেকে ১০০ টন পণ্য আমদানি সম্ভব হবে৷ এতে বছরে ৭/৮ মাস অনায়াসে পণ্য আমদানি করা যাবে৷ শুধুমাত্র শুখা মরশুমে নদী খননের উদ্যোগ নিতে হবে৷ সে-বিষয়ে উভয় দেশ সম্মত হয়েছে৷
এখন পণ্য পরিবহনে নদীপথ পরিদর্শন করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ৷ আগামী ১১ আগস্ট নদীপথে ওই সংস্থার চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল ডিরেক্টর মহম্মদ রফিকুল ইসলাম, কনসালটেন্সি এন্ড পাইলট ডিরেক্টর, ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার ড্রেজিং সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আধিকারিক-রাও পরিদর্শনে উপস্থিত থাকবেন৷
ত্রিপুরার সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দফতর সূত্রে খবর, সোনামুড়া থেকে দাউদকান্দি নদীপথে ২৩টি ব্রিজ রয়েছে৷ ওই ব্রিজগুলির উচ্চতা খুবই কম৷ ফলে, বর্ষা মরশুমে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি হলে কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে তা সম্পূর্ণ খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে৷ কারণ, বর্ষায় জলস্তর বেড়ে গেলে জলযান বাধা হতে পারে, ওই বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে৷ সূত্রের কথায়, ওই রুটে বড় জাহাজে পণ্য পরিবহন কোনভাবেই সম্ভব নয়৷ ছোট কাগর্ো জলযান সোনামুড়া পর্যন্ত নদীপথে পণ্য পরিবহন করতে পারবে৷
সূত্রের বক্তব্য, আগামী ১১ আগস্ট বিবিরবাজার থেকে স্পীডবোট-এ দাউদকান্দি যাবেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ-র শীর্ষ পদাধিকারীরা৷ সোনামুড়া-দাউদকান্দি ৯৩ কিমি নদীপথে ২৩টি ব্রিজ পরিদর্শন করবেন তাঁরা৷ তাতে, বর্ষা মরশুমে পণ্য পরিবহনে-র যাবতীয় সমস্ত দিক খাটিয়ে দেখবেন ওই আধিকারিকরা৷ সব কিছু ঠিক থাকলে নদীপথে পণ্য পরিবহনে সবুজ সংকেত দেবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ৷ তবেই, শুরু হতে পারবে সোনামুড়া-দাউদকান্দি নদীপথে পণ্য পরিবহন৷
এদিকে, ওইদিন সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েতে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে৷ অল ত্রিপুরা মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ১১ আগস্ট ইন্দো-বাংলা আমদানি ও রফতানিকারক, ইন্দো-বাংলা চেম্বার অফ কমার্স-র ত্রিপুরা শাখা, মার্চেন্ট এসোসিয়েশন এবং শিল্প ও বাণিজ্য সচিব ওই বৈঠকে অংশ নেবেন৷