সুবিধাভোগী বাছাই নিয়ে পঞ্চায়েতের বৈঠকে লঙ্কাকান্ড শ্রীনাথপুর গ্রামে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ আগস্ট৷৷ ঊনকোটি জেলার কৈলাশহর এর শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত মিটিংয়ে লঙ্কাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে৷ শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত শাসক দল বিজেপির অধীনে রয়েছে৷ পঞ্চায়েত চলাকালে সদস্যরাই নিজেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন৷ একসময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের উপক্রম হয়৷ শেষ পর্যন্ত খবর পাঠানো হয় থানায়৷ খবর পেয়ে পুলিশ ও টি এস আর বাহিনী ছুটে আসে৷পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছায় শেষ পর্যন্ত দুজন ডিসিএম কেও পঞ্চায়েতে ছুটে আসতে হয়৷


দুজন ডিসিএম এসেও পঞ্চায়েতের ঝগড়া থামাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে৷শেষপর্যন্ত ডিসিএম তাপস সিনহা পঞ্চায়েতের মিটিং জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন৷ তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ফের যেকোনো সময় পঞ্চায়েতের আপ অন্তরীণ বিষয়কে কেন্দ্র করে শাসকদলীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যে বিবাদ চরম আকার ধারণ করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷

সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের নাম নির্ধারণসহ অন্যান্য অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয়কে নিয়ে এই ঘটনার সূত্রপাত৷ শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত মিটিং এ ধরনের কার্যকলাপের সংবাদে পঞ্চায়েতের সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷স্থানীয় জনগণের অভিমত পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যরা যদি পঞ্চায়েত মিটিং এ ধরনের বাকবিতণ্ডা এবং হাতাহাতিতে লিপ্ত হন তাহলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে৷শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে পুলিশ ও টিএসআর বাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে৷


পঞ্চায়েত বিবাদের জেরে পরিস্থিতি যেকোনো সময় উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গিয়েছে৷ এর রেশ আরো বহুদূর পর্যন্ত গড়ানোর আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে শাসকদল ময়দানে নামলেও শেষপর্যন্ত পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় তা বলা রীতিমতো কঠিন হয়ে উঠেছে৷অবশ্য এ ব্যাপারে থানায় কোন পক্ষ থেকেই কোন ধরনের মামলা দায়ের করা হয়নি৷