আগরতলা, ৬ আগস্ট (হি.স.)৷৷ আনলক-১ চলাকালীন নিষেধাজ্ঞায় কিছু শিথিল করেছে ত্রিপুরা সরকার৷ করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাইরে এক তৃতীয়াংশ দোকান ও বিক্রয়কেন্দ্র খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি বইয়ের দোকান প্রতিদিন রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত খোলা রাখারও অনুমতি মিলেছে৷
প্রসঙ্গত, আনলক-১ চলাকালীন জরুরি পরিষেবা এবং জরুরি প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকান খোলা রাখার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল৷ তাতে, ব্যবসায়ীরা মারাত্মক লোকসানের মুখে পড়েছেন৷ তাই, অল ত্রিপুরা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এ-বিষয়ে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিল৷
তাতে সন্ধ্যায় মুখ্যসচিব মনোজ কুমার এক আদেশনামা জারি করে করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাইরে এক তৃতীয়াংশ দোকান এবং বিক্রয়কেন্দ্র খোলা রাখার ঘোষণা করেছেন৷ এক্ষেত্রে কোন কোন দোকান খোলা থাকবে বাজার কমিটি তার সূচি তৈরি করবে৷
এদিকে, পুস্তক বিক্রেতারা পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসকের কাছে বইয়ের দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন৷ ওই আবেদন জেলা প্রশাসন মঞ্জুর করেছে৷ পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা শাসক সন্দীপ এন মাহাত্মে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বইয়ের দোকান খোলা রাখার বিষয়ে ঘোষণা করেছেন৷ তবে এক্ষেত্রে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ শুধু তা-ই নয়, প্রতিদিন রাত সাড়ে আটটার মধ্যে দোকান বন্ধ করা বাধ্যতামূলক করেছেন জেলাশাসক৷ কারণ, রাত্রিকালীন কারফিউ রাত নয়টায় শুরু হওয়ার আগেই দোকানের মালিক-কর্মচারীদের বাড়ি ফেরা সুনিশ্চিত করতে হবে৷