নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ জুলাই৷৷ রেপিড অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষা শুরু হতেই আরও করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলছে ত্রিপুরায়৷ ওই পরীক্ষার মাধ্যমে চারদিনে ২১ জনের দেহে করোনা-র সংক্রমণ মিলেছে৷ তেমনি, ত্রিপুরায় করোনা-র গ্রাফ ঊর্ধমুখি হওয়ায় করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সংখ্যাও বেড়েছে৷ ৪৯ থেকে বেড়ে এখন ৫৪টি হয়েছে৷
সোমবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, ত্রিপুরায় রেপিড অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে৷ চারদিনে ১,৬১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের দেহে করোনা-র সংক্রমণ মিলেছে৷ এ-বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, ১০ জুলাই ৪৪৫ জনের মধ্যে ১০ জনের, ১১ জুলাই ১২১ জনের মধ্যে ৩ জনের, ১২ জুলাই ১৮৮ জনের মধ্যে ১ জনের এবং ১৩ জুলাই ৮৬০ জনের মধ্যে ৭ জনের দেহে করোনা-র সংক্রমণ পাওয়া গেছে৷ মূলত, করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এখন রেপিড অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন৷
এদিকে, আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সংখ্যাও বেড়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৪৯ থেকে বেড়ে করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪৷ এ-বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, পশ্চিম জেলায় ২টি, সিপাহিজলা জেলায় ১৩টি, গোমতি জেলায় ২৭টি, দক্ষিণ জেলায় ৮টি, ঊনকোটি জেলায় ২টি এবং ধলাই জেলায় ২টি করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা রয়েছে৷
এদিকে, রাজ্যে নতুন করে ২৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট করে এই ঘোষণা দিয়েছেন৷ তিনি জানিয়েছেন, এদিন ২৪৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তাতে ২৬ জনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে৷ আক্রান্তদের মধ্যে পশ্চিম জেলায় ১২, সিপাহীজলায় ৫, খোয়াইয়ে ৩, দক্ষিণ জেলায় ২, গোমতী জেলায় ২ এবং উত্তর ও ধলাই জেলায় ১ জন করে আক্রান্ত৷ অন্যদিকে, এদিন ৫৪ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন বিভিন্ন কোভিড কেয়ার সেন্টার থেকে৷

