২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ৫০০ জনের, ভারতে করোনা-মুক্ত ৫,৫৩,৪৭১ : স্বাস্থ্য মন্ত্রক

নয়াদিল্লি, ১৩ জুলাই (হি.স.): সময় যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপ হয়ে উঠছে। কোনও ভাবেই সংক্রমণ ও মৃত্যুতে রাশ টানাই যাচ্ছে না। ভারতে বিগত ২৪ ঘন্টায় (রবিবার সারাদিনে) নতুন করে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ভারতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৮,৭০১ জন। সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২৩,১৭৪ জন এবং সংক্রমিত ৮,৭৮,২৫৪ জন। এখনও পর্যন্ত করোনা-মুক্ত হয়েছেন ৫,৫৩,৪৭১ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৮,৭৮,২৫৪ জন (সক্রিয় করোনা রোগী ৩,০১,৬০৯)। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩,১৭৪। এর মধ্যেই চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫,৫৩,৪৭১ জন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক বুলেটিনে জানিয়েছে, ২৩,১৭৪ জনের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে ৩২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশে দু’জন, অসমে ৩৫ জন, বিহারে ১৪৩ জনের, চন্ডীগড়ে ৮ জন, ছত্তিশগড়ে ১৯ জন, দিল্লিতে ৩,৩৭১ জনের, গোয়া ১৪ জন, গুজরাটে ২০৪৫ জনের, হরিয়ানায় ৩০১ জনের, হিমাচল প্রদেশে ১১ জনের, জম্মু-কাশ্মীরে ১৭৯ জনের, ঝাড়খণ্ডে ৩০ জনের, কর্ণাটকে ৬৮৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন, কেরলে ৩১ জন, লাদাখে একজন, মধ্যপ্রদেশে ৬৫৩ জন, মহারাষ্ট্রে ১০,২৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, মেঘালয়ে দু’জন, ওডিশায় ৬৪ জনের, পুদুচেরিতে ১৮ জন, পঞ্জাবে ১৯৯ জন, রাজস্থানে ৫১০ জনের, তামিলনাড়ুতে ১,৯৬৬ জন, তেলেঙ্গানায় ৩৫৬ জন, ত্রিপুরায় দু’জন, উত্তরাখণ্ডে ৪৭ জন, উত্তর প্রদেশে ৯৩৪ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ৯৩২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ-এই সমস্ত রাজ্যগুলিতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক এবং প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ২,৫৪,৪২৭-এ পৌঁছেছে। দিল্লিতে আক্রান্ত ১১,২৪,৯৪, গুজরাটে ৪১,৮২০, পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০,০১৩, উত্তর প্রদেশে ৩৬,৪৭৬ এবং তামিলনাড়ুতে মোট করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ১৩,৮৪,৭০।

ভারতে দ্রুততার সঙ্গে বেড়েই চলেছে করোনা-পরীক্ষা। সোমবার সকালে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, ১২ জুলাই পর্যন্ত মোট ১,১৮,০৬,২৫৬টি স্যাম্পেল টেস্ট করা হয়েছে। শুধুমাত্র ১২ জুলাই ২,১৯,১০৩টি স্যাম্পেল টেস্ট করা হয়েছে।