অরুণাচল প্ৰদেশে যৌথ বাহিনীর সাফল্য, ৬ এনএসসিএন-আইএম জঙ্গি নিকেশ, উদ্ধার অস্ত্রশস্ত্ৰ

ইটানগর, ১১ জুলাই (হি.স.) : করোনা-প্রকোপের মধ্যেই আসাম রাইফেলস এবং অরুণাচল প্রদেশের সশস্ত্র পুলিশের যৌথ অভিযানে বিরাট সাফল্য মিলেছে। শনিবার ভোরে যৌথ বাহিনী ছয় সশস্ত্র এনএসসিএন-আইএম জঙ্গিকে নিকেশ করেছে। অবশ্য ওই অভিযানে জঙ্গিদের ছোঁড়া গুলিতে আসাম রাইফেলস-এর এক জওয়ান আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে বহু আগ্নেয়াস্ত্র ইত্যাদি।

প্ৰাপ্ত খবরে জানা গেছে, আজ গভীর রাতে মায়ানমার এবং নাগাল্যান্ড সীমান্তবর্তী অরুণাচল প্রদেশের লংডিং জেলার নগিনু গ্রামে পাহাড়ি ঘন জঙ্গলে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। ভোর প্রায় সাড়ে চারটা নাগাদ যৌথ বাহিনী জঙ্গিদের অস্থায়ী শিবির ঘেরাও করলে জঙ্গিরা জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। জবাবি হামলা চালায় যৌথ বাহিনী। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে গুলি বিনিময়। অবশেষে ছয় জঙ্গিকে ধরাশায়ী করে সাফল্য অর্জন করেছেন যৌথ বাহিনীর অভিযানকারীরা।

রাজ্য পুলিশের ডিজিপি আরপি উপাধ্যায় জানিয়েছেন, এসআইবি-র সুনির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে আসাম রাইফেলস-এর ৬ নম্বর ব্যাটালিয়ন এবং রাজ্য পুলিশ আজ ভোরে লংডিং জেলার নগিনু গ্রামে অভিযানে যায়। ওই অভিযানে ছয় সশস্ত্র এনএসসিএন-আইএম জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে চারটি একে ৪৭ রাইফেলস্, দুটি চাইনিজ এমকিউ, ৫০০ রাউন্ড সক্রিয় গুলি, দুটো হ্যান্ড গ্রেনেড এবং বহু আপত্তিজনক নথিপত্ৰ। তিনি জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা এবং এলাকার বিশিষ্ট কাউকে অপহরণ করার উদ্দেশ্যে জঙ্গিরা নগিনু গ্রামে অবস্থান করছিল, জানান ডিজিপি। ধরাশায়ী জঙ্গিদের নামধাম এখনও জানা যায়নি। তবে উদ্ধারকৃত নথিপত্র দেখে তাদের এনএসসিএন-আইএম জঙ্গি বলে নিশ্চিত হয়েছেন তাঁরা, জানান শীর্ষ পুলিশ অফিসার ডিজিপি।

সাথে তিনি যোগ করেন, আসাম রাইফেলস-এর এক জওয়ান জঙ্গিদের গুলিতে আহত হয়েছেন। তাঁকে মিলিটারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন রাজ্যের পুলিশপ্রধান উপাধ্যায়।