গুয়াহাটি, ১১ জুলাই (হি.স.) : অসহায় সরকার, অসহায় জেলা প্রশাসন। তাই গুয়াহাটিতে লকডাউনের সময়সীমা আরও সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বেড়েছে কামরূপ মেট্রো জেলায়। করোনার গোষ্ঠী-সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৮ জুন মধ্যরাত থেকে কামরূপ মেট্রো (গুয়াহাটি) জেলায় ১৪ দিন অর্থাৎ ১২ জুলাই পর্যন্ত ফের বলবৎ করা হয়েছিল সম্পূর্ণ লকডাউন। আগামীকাল এর মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ শনিবার বিকেলে জনতা ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে গুয়াহাটিতে করোনার ভয়াবহতার প্রতি লক্ষ্য রেখে লকডাউনের মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়ানো ছাড়া বিকল্প পথ নেই বলে সরকার তথা প্রশাসনের অসহায়ত্বের কথা শুনিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
জানান, আগামীকাল ১২ জুলাই রাত ১২.০০টা থেকে আগামী ১৯ জুলাই রাত ১২.০০টা পর্যন্ত বাড়ানো হবে লকডাউনের সময়সীমা। এর বলে সব ধরনের সরকারি ও বেসরকারি কাৰ্যালয়, বাণিজ্যিক প্ৰতিষ্ঠান, শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে এই সময়কালে। রাস্তাঘাটে যথারীতি ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞাও বলবৎ থাকবে। তবে প্রতিদিন সকাল ৯.০০টা থেকে বিকেল ৪.০০টা পর্যন্ত অত্যাবশক সামগ্রী যেমন মুদি দোকান খোলা রাখা যাবে। তাছাড়া সকাল ৮-টা থেকে বেলা ২-টা পর্যন্ত ঘরে ঘরে শাক-সবজি বিক্ৰি করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. শর্মা বলেন, গুয়াহাটিতে লকডাউন চলছে। কিন্তু গোষ্ঠা সংক্ৰমণ ঠেকানো যাচ্ছে না। দৈনিক গড়ে তিন থেকে চার শতাধিক করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। তাই গুয়াহাটিতে লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়াতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে পরামৰ্শ দিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর।
মন্ত্রী জানান, গতকাল গুয়াহাটির নাগরিক সমিতি, স্বাস্থ্য দফতর এবং কামরূপ মহানগর জেলা প্ৰশাসনের মধ্যে করোনা ও লকডাউন সম্পর্কিত এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সভায় নাগরিক সমিতিগুলো আরও দু সপ্তাহ লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু প্ৰথম দফার লকডাউনের ফলে ৩০ থেকে ২১ শতাংশ পর্যন্ত আক্ৰান্তের হার হ্ৰাস পাওয়ায় এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করতে মুখ্যসচিবকে অনুরোধ জানায়ো হয়েছে বলে জানান তিনি।
হিমন্তবিশ্ব শর্মার দাবি, গতকাল এবং পরশু ২১ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশ পর্যন্ত করোনায় আক্ৰান্তের সংখ্যা কমেছে।