নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ জুলাই৷৷ ত্রিপুরায় গাছের তথ্য সংরক্ষণে প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হয়েছে৷ ই-বৃক্ষ ব্যবস্থা ত্রিপুরায় চালু হয়েছে৷ তাতে স্মার্ট ফোনের সাহায্যে গাছের নাম, কার্যকারিতা সহ যাবতীয় সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে৷ বনমহোৎসব উপলক্ষে ত্রিপুরায় আজ শনিবার থেকে এই বিশেষ ব্যবস্থার সূচনা হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ই-বৃক্ষ ব্যবস্থার প্রশংসা করে বলেন, দেশের মধ্যে ত্রিপুরায় সর্বপ্রথম গাছের তথ্য সংরক্ষণে প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হয়েছে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, এখন ত্রিপুরায় বৃক্ষ রোপণের পর ৯০-৯৫ শতাংশ গাছ বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে৷
ত্রিপুরায় আজ বনমহোৎসব পালিত হচ্ছে৷ করোনা-র প্রকোপে ছোট পরিসরে বনমহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি, ত্রিপুরায় ই-বৃক্ষ ব্যবস্থা চালু হয়েছে৷ বন দফতর প্রযুক্তির সহায়তায় গাছের তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে৷ তিনি বলেন, গাছ লাগানোর পর সমস্ত তথ্য রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে৷ তাতে স্মার্টফোন ব্যবহার করে জানা যাবে, কে ওই গাছ লাগিয়েছেন, কী প্রজাতির গাছ এবং তার কার্যকারিতা৷ তাঁর দাবি, দেশের মধ্যে ত্রিপুরায় প্রথম এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে৷
সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরায় এখন বৃক্ষরোপণের পর গাছ বাঁচানোর হার আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে৷ তিনি বলেন, অতীতে গাছ লাগানো হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তার কোনও হিসাবে রাখা হতো না৷ কিন্তু, এখন প্রত্যেকটি গাছের সম্পূর্ণ হিসাব রাখা হচ্ছে৷ তাঁর দাবি, এ-বছর নার্সারিতে ১৮ লক্ষ নতুন চারা তৈরি হচ্ছে৷ এদিন তিনি দাবি করেন, অতীতে ৪০-৬০ শতাংশ গাছ বৃক্ষরোপণের পর বাঁচানো সম্ভব হতো৷ কিন্তু, এখন ৯০-৯৫ শতাংশ গাছ বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে৷
তাঁর মতে, বৃক্ষরোপণের সাথে গাছ বাঁচানো অত্যন্ত জরুরি৷ কারণ, ওই গাছই আমাদের অমূল্য সম্পদ৷ তাই গাছ বাঁচানো বিরাট প্রাপ্তি৷