নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২৯ জুন৷৷ ঠেলার নাম বাবাজি শেষ পর্যন্ত আমাদের কয়েক দফা সংবাদ এর জেরে ও মুঙ্গিয়া কামি ব্লকের ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ দেববর্মার উদ্যোগের ফলেই আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের মরণফাঁদ গুলিতে দ্রুত কাজ শুরু হয়েছে৷ তবে কাজ গুলি যে কত দূর গুণগত মানসম্পন্ন হবে এ নিয়ে সন্দিহান শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মহলে৷ বারবার আমরাই আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের আঠারো মোরা পাহাড়ের ৩৪ মাইল থেকে মঙ্গিয়া বাড়ি বাজার পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশার জ্বলন্ত চিত্র আমাদের সংবাদমাধ্যমে প্রচার করেছি৷ একটু দেরি হলেও ঘুম ভেঙ্গেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের৷ যদিও রাস্তার ভগ্ণদশা একমাত্র কারণ রাস্তার সাইড ওয়াল গুলির ইট ভেঙ্গে চুরি হয়ে যাচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে৷ আর মুঙ্গিয়াকামি থানার পুলিশ বাবুরা না ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করে গেছেন এতদিন যার ফলে বিপদসীমা অতিক্রম করে গেছে ওই এলাকার৷ তাইতো আমাদের সংবাদ এর জেরেই ভগ্ণদশা গুলির কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর৷ তবে যেভাবে কাজ হচ্ছে হাতের নাগালে পাওয়া বনদপ্তর এর মাটি ও বনদপ্তরের মূল্যবান গাছের ঢাল দিয়ে কতদূর এই ভগ্ণদশা রোধ করা যাবে টা পরবর্তীকালে দেখার অপেক্ষায়৷ অন্যদিকে জাতীয় সড়কের মাঝ বরাবর বড় বড় গর্ত গুলিকে ঢাকতে যেভাবে পাথর ও বিটুমিন ব্যবহার করা হচ্ছে তার স্থায়িত্ব কতটুকু হবে তা নিয়েও প্রশ্ণ চিহ্ণ দেখা দিচ্ছে শুভবুদ্ধি মহলের মধ্যে৷ কারণ সদুর আগরতলা থেকে বিটুমিন ও পাথর মিক্স করে প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে সেই মিক্সার গুলি রাস্তায় ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলির তাপমাত্রা কতটুকু সঠিক পরিমাণে রয়েছে তাও প্রশ্ণচিহ্ণের মুখে৷ আর যেভাবে গ্রাউন্ডিং করার কথা সেভাবেও হচ্ছে না৷ আর কাজগুলি দেখার মত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন আধিকারিক কেউ কাজের স্থলে দেখা পাওয়া যায়নি৷ এখন দেখার সংবাদ পরিবেশনের পর রাস্তার কাজ নিয়ে এবং সঠিক পরিমাণে হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য কোন প্রতিনিধি দল কাজের স্থলে পৌঁছে কিনা৷
2020-06-30

