নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ জুন৷৷ রাজ্যে গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টি সরবরাহের বিষয়টি আরও উন্নত করতে এবং কন্যা সন্তান সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে ত্রিপুরা সরকার মুখ্যমন্ত্রী মাত্রু পুষ্টি উপহার এবং ত্রিপুরা বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও অভিযান নামে নতুন দুটি প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেট ভাষণে এই দুটি প্রকল্প চালু করার ঘোষণা করেলেন৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতেই গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই দুটি প্রকল্প চালু করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ এদিকে, প্রধানমন্ত্রী মাত্রু বন্দনা যোজনার সফল রূপায়ণে ত্রিপুরা দেশের মধ্যে নবম স্থানে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে৷
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দফতরের মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা৷ তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় গর্ভবতী মায়েদের বিশেষ পুষ্টি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মাত্রু পুষ্টি উপহার প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চারবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে৷ প্রত্যেকবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর গর্ভবতী মায়েদের পোষণ কিট প্রদান করা হবে৷
এ-বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, এই পোষণ কিটে থাকবে ২৫০ গ্রাম চিনাবাদাম, সোয়াবিন ১৮০ গ্রাম, মিক্সড ডাল ৫০০ গ্রাম, গুড় ৫০০ গ্রাম, ঘি ২০০ গ্রাম৷ প্রতিটি কিটের মুল্য পড়বে ৫০০ টাকা৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় ৪০ হাজার গর্ভবতী মহিলা উপকৃত হবেন৷ এর জন্য ত্রিপুরা সরকারের বছরে ৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে, দাবি করেন সমাজ শিক্ষামন্ত্রী৷
থে তিনি যোগ করেন, গর্ভবতী মায়েদের গর্ভকালীন সময়ে আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ত্রিপুরায় ২০১৭ সাল থেকেই প্রধানমন্ত্রী মাত্রু বন্দনা যোজনা নামে একটি প্রকল্প চালু রয়েছে৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি, আধা সরকারি ব্যতিত গর্ভবতী মায়েদের প্রথম সন্তানের জন্য তিন কিস্তিতে ৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়৷ তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় এই প্রকল্পের মাধ্যমে গত বছর ৫৮ হাজার ৯৯৬ জন সুবিধাভোগী উপকৃত হয়েছেন৷ প্রধানমন্ত্রী মাত্রু বন্দনা যোজনার সফল রূপায়ণে ত্রিপুরা দেশের মধ্যে নবম স্থানে এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, জানিয়েছেন সমাজ শিক্ষামন্ত্রী৷
এদিন তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও অভিযান প্রকল্পটি ত্রিপুরায় বর্তমানে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় সফলভাবে রূপায়িত হচ্ছে৷ তাই রাজ্য সরকার ত্রিপুরা বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও নামে নতুন প্রকল্প চালু করে তা রাজ্যের সমস্ত জেলায় সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রকল্প চালু করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, বলেন তিনি৷ তাঁর দাবি, এই প্রকল্পটি রূপায়ণে বছরে ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে৷