নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ জুন৷৷ করোনা-র প্রকোপে দেশে চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে এসেছে৷ ফলে ত্রিপুরাও বিরাট অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে৷ তাতে গ্রাম-পাহাড়ে, বিশেষ করে জনজাতি অংশের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন৷ এই দাবি করে ত্রিপুরা উপজাতি গণমুক্তি পরিষদ সংকট মোকাবিলায় জনগণের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য ত্রিপুরা সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে৷ সাত দফা দাবির ভিত্তিতে রাজধানী আগরতলার কর্ণেল চৌমুহনিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সংগঠিত করেছে গণমুক্তি পরিষদ৷
গণমুক্তি পরিষদ-এর রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরীর নেতৃত্বে প্ল্যা-কার্ড গলায় ঝুলিয়ে সমর্থকরা প্রায় একঘণ্টা প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করেছেন৷ এদিন জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, গত ১৭ তারিখ থেকে ত্রিপুরার বিভিন্ন ভিলেজ কমিটি এবং পঞ্চায়েত এলাকায় নানা দাবিতে আন্দোলন সংঘটিত করেছে৷ দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, যে-সব পরিবার সরকারকে কর দিতে হয় না ওই সব প্রত্যেক পরিবারকে বিনামূল্যে চাল সরবরাহ করতে হবে৷ প্রতিটি গরিব পরিবারকে ৬ মাস পর্যন্ত মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা করে অ্যাকাউন্টে প্রদান করতে হবে৷ গ্রামীণ এলাকায় রেগা প্রকল্পে বছরে ২০০ দিন কাজ এবং শহর এলাকায় টুয়েপ প্রকল্পে কাজের ব্যবস্থা করতে হবে৷ শুধু তা-ই নয়, দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিও জানিয়েছে গণমুক্তি পরিষদ৷
জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, বর্তমানে দেশে চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয় চলেছে৷ তাতে আমাদের রাজ্যও চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে৷ ফলে, গ্রাম-পাহাড়ে, বিশেষ করে জনজাতি অংশের মানুষ সবচেয়ে বেশি সংকটের সম্মুখীন হয়েছেন৷ তাঁর দাবি, ওইসব এলাকায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে৷ জুমিয়া পরিবারগুলোর জন্য অনাহার অর্ধাহার নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এদিন তিনি করোনা ভাইরাস সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে এই সঙ্কট তৈরি হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারকে গরিব অংশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন৷ অবশ্য, লকডাউন ঘোষণার পদ্ধতি নিয়েও তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধুনো করেছেন৷ তিনি বলেন, গোটা বিশ্বজুড়েই করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে লকডাউন ঘোষণা করা অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে৷ কিন্তু এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে লকডাউন ঘোষণা করা উচিত ছিল বলেও তিনি মন্তব্য করেন৷