নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ জুন৷৷ পর্যটন ক্ষেত্র শুধুমাত্র বিদেশি মুদ্রাই আয় করে তা নয়৷ পর্যটন ক্ষেত্র কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি করে এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক সুদৃঢ় করে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পর্যটনের সম্ভাবনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন৷ প্রধানমন্ত্রীর অ্যাক্ট ইস্ট পলিসিতে পর্যটন বিশেষ জায়গা পেয়েছে৷ আজ আই আই এম এম ই সিম্পোজিয়াম-২০২০ অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা একথা বলেন৷ এই ভার্চুয়াল সিমপােসিয়ামের উদ্যোক্তা ড, এপিজে আব্দুল কালাম সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ এন্ড এনালিসিস, আই আই এম শিলং৷
সিমপােসিয়ামে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ইমারজেন্সি নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া, স্ট্রেটেজিক এন্ড ডেভেলপমেন্ট ইমপারেটিভ৷ আলোচনায় অংশ নিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা বলেন, আমাদের দেশের ৮ শতাংশ এলাকা নিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চল৷ এই অঞ্চলের জনসংখ্যা দেশের মােট জনসংখ্যার ৩.১ শতাংশ৷ এই অঞ্চলের ঐতিহাসিক, সাংসৃকতিক এবং বিশেষ প্রাকৃতিক সম্পদ এখনও অনাবিষৃকত৷ যা প্রতিবেশি মায়ানমার এবং বহিঃবিশ্বের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে৷ উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, পর্যটন শুধুমাত্র উন্নয়নের মাধ্যমে নয়, এটা কর্মসংস্থান বৃদ্ধিরও অংশ৷ সমীক্ষকদের মতে এই ক্ষেত্রটিতে চূড়ান্ত দক্ষ মানুষের পাশাপাশি অদক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়৷ তথ্য অনুযায়ী দেশের গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৬.৬ শতাংশ আসে পর্যটন ক্ষেত্র থেকে৷
তাছাড়া মােট কর্মসংস্থানের ৭.৭ শতাংশ সৃষ্টি হয় পর্যটন ক্ষেত্রে৷ আলোচনায় উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, চীন এবং মায়ানমার এই আটটি দেশের সীমান্ত রয়েছে৷ তাই উত্তর-পূর্বাঞ্চল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে ভারতের যােগাযােগের করিডর হয়ে উঠতে পারে৷ এই অঞ্চলের অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বৈচিত্রের মাঝে ঐক্য, সাংসৃকতিক ঐতিহ্য, দেশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে পারে৷ উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, এজন্য প্রয়ােজন সঠিক পরিকল্পনা এবং তার রূপায়ণ৷ ইতিমধ্যেই এই কাজ শুরু হয়েছে৷