নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ জুন৷৷ করোনা-প্রকোপে লকডাউনের আবর্তে বাংলাদেশে আটকে থাকা আরও ১২৪ জন ত্রিপুরার নাগরিক আজ শুক্রবার আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) দিয়ে ফিরে এসেছেন৷ তাঁদের প্রত্যেকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷ তার পর তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক একান্তবাসে রাখা হয়েছে৷ দুদিনে ২৪৫ জন ত্রিপুরার নাগরিক বাংলাদেশ থেকে ফিরেছেন৷
ইতিপূর্বে বাংলাদেশে আটকে থাকা ১০৬ জন ত্রিপুরার নাগরিক গত ২৮ মে রাজ্যে ফিরে এসেছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে ১০ জনের দেহে করোনা-র সংক্রমণ মিলেছিল৷ দ্বিতীয় দফায় গতকাল এবং আজ, দু-দিনে ২৮৮ জন ত্রিপুরার নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত আনার ব্যবস্থা করেছিল বিদেশ মন্ত্রক৷ কিন্তু সবাই আসেননি৷
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থেকে ১৩৪ জন ত্রিপুরার নাগরিকদের ফিরে আসার সূচি নির্ধারিত হয়েছিল৷ কিন্তু, দুই শিশু সহ ১২২ জন ত্রিপুরার নাগরিক বাংলাদেশ থেকে ফিরেছেন৷ এ-বিষয়ে ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির আগরতলা ম্যানেজার দেবাশিস নন্দি গতকাল জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ফেরত এই সকল ত্রিপুরার নাগরিকদের মধ্যে একটি দেড় মাসের এবং একটি ৯ মাসের শিশু রয়েছে৷
তিনি বলেন, এবার আইসিপি-তে বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ গত ২৮ মে বাংলাদেশ ফেরত ত্রিপুরার নাগরিক করোনা সংক্রমিতদের সংস্পর্শে বিএসএফ সহ ৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ ওই বিপদ এড়াতে সকলকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছিল আজ৷ তাঁর কথায়, ত্রিপুরার নাগরিকদের গ্রহণে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র তাঁরাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন৷
এদিকে, বাংলাদেশের আখাউড়ায় লোকনাথ সেবাশ্রমে শান্তিবন মহাশ্মশানে আশ্রিত ঊষাবাজারের একটি পরিবার আজ একইসাথে ত্রিপুরায় ফিরে এসেছেন৷ করোনা-র প্রকোপে লকডাউনে ওই পরিবারটি আটকা পড়েছিলেন৷ তাঁরা দীর্ঘদিন ওই আশ্রমে আশ্রিত ছিলেন৷
এদিকে, আজ বাংলাদেশ থেকে ১৫৪ জন ত্রিপুরার নাগরিকদের ফিরে আসার সূচি নির্ধারিত হয়েছিল৷ কিন্তু, ১২৩ জন ত্রিপুরার নাগরিক এদিন ফিরেছেন৷ পূর্বের নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ১৮৮ জন বাংলাদেশ থেকে ফেরার তালিকা তৈরি হয়েছিল৷ তার মধ্যে দুই দিনে ২৪৫ জন ফিরেছেন৷

