নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ জুন৷৷ সরকারি ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধে ত্রিপুরা সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেবে৷ শনিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে একাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে এভাবেই সতর্কবার্ত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ৷ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোভিড-১৯-এর পারস্পরিক দূরত্ববিধি না মেনে কিছু কিছু শিক্ষক প্রাইভেট টিউশন করছেন৷ যা কাম্য নয়৷ তাঁর সাফ কথা, প্রাইভেট টিউশন করতে হলে চাকরি ছেড়ে দিন৷ নয়তো, হাতেনাতে ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি খোয়াতে হবে৷
এদিন শিক্ষামন্ত্রী সরকারি ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধে পূর্বতন নির্দেশিকা সমূহ উল্লেখ করেন৷ এই বিষয়ে উচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশের কথা তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী এর বাস্তবিক প্রয়োগে রাজ্য সরকারের দৃঢ় মনোভাবের কথা ব্যক্ত করেন৷ সাথে তিনি যোগ করেন, বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ১৪ বছরের কম বয়সি এবং নিজ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রিদের প্রাইভেট টিউশনে পড়াতে পারবেন না৷ ত্রিপুরা হাইকোর্ট এমনই রায় দিয়েছে৷
শিক্ষামন্ত্রী জানান, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বুনিয়াদি শিক্ষা দফতর ৮৪টি গ্র্যাজুয়েট টিচার এবং ৭৫টি আন্ডার গ্র্যাজুয়েট টিচার পদে অফার ছাড়া হয়৷ এর মধ্যে ৬৯ জন গ্র্যাজুয়েট টিচার এবং ৩৩ জন আন্ডার গ্র্যাজুয়েট টিচার তাদের অফার দফতরে জমা দিয়েছেন৷ সবগুলি অফার জমা না পড়ায় যে পদগুলি শূন্য রয়েছে সেগুলি পূরণ করার জন্যও শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি৷
তিনি আরও জানিয়েছেন, লকডাউনজনিত পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে শিক্ষা দফতর বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে৷ আজ থেকে স্থানীয় ক্যাবল টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনলাইনে লাইভ ক্লাস শুরু হয়েছে৷ এই অনলাইন ক্লাস সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য শিক্ষামন্ত্রী আজ এসসিইআরটি কার্যালয় পরিদর্শন করেন৷ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকা খুবই প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেন তিনি৷