গুষ়াহাটি, ৩০ মে (হি.স.) : অতিমারি কোভিড-১৯, বন্যা, নদীভাঙন, ঝড়-বৃষ্টি, আফ্ৰিকান সোয়াইন ফিভারের মতো দুর্যোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হচ্ছে অসমবাসীকে। সাধারণ মানুষ এবং রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি বিভাগের সহযোগিতায় এই সব দুৰ্যোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখে এসেছেন মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল। রাজ্যে নদী ভাঙনের সমস্যাকে প্ৰাকৃতিক দুৰ্যোগ হিসাবে গণ্য করে বন্যা বিধ্বস্ত মানুষকে সাহায্য এবং পুনঃসংস্থাপনের ব্যবস্থা করতে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই পঞ্চদশ অৰ্থ কমিশনের কাছে একটি প্ৰতিবেদন দাখিল করেছে। জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, দাখিলকৃত প্ৰতিবেদনে সদিচ্ছা প্ৰকাশ করেছে কমিশন। কমিশন বন্যা এবং নদী ভাঙন সমস্যাকে দুৰ্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করে এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফ-এর অধীনে সাহায্য এবং পুনঃসংস্থাপনের ব্যবস্থা করার জন্য কেন্দ্ৰীয় সরকারের কাছে বিভিন্ন পরামৰ্শ সংবলিত প্রতিবেদন দাখিল করেছে বলে জানিয়েছে।
অসমে নদী ভাঙন তথা বন্যা বিধ্বস্তদের পুনঃসংস্থাপনের জন্য এক বিশেষ প্ৰস্তাব দাখিল করতে কেন্দ্ৰীয় সরকার নিৰ্দেশ দিয়েছিল। তার উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার বিস্তৃত তথ্যসমৃদ্ধ একটি প্ৰস্তাব কেন্দ্ৰীয় সরকারের কাছে পাঠাবে। এই পদক্ষেপের ফলে রাজ্যের দীৰ্ঘদিনের জ্বলন্ত সমস্যার সমাধানে যথেষ্ট সাহায্য করবে।
তিনি আরও জানান, প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যের বন্যা এবং ভাঙন সমস্যাকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন। চলতি বছরে এসডিআরএফ তহবিলে কেন্দ্ৰীয় অংশ হিসেবে ভারত সরকার ৭৭২ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। এর ৩৮৬ কোটি টাকা ইতিমধ্যে রাজ্য পেয়েছে। বন্যা বিধ্বস্তদের সাহায্যের জন্য এবং প্ৰয়োজনীয় কাজকৰ্মের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের কাছে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই যথেষ্ট অৰ্থ পাঠিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ত্রাণশিবিরে বন্যাৰ্তরা যাতে সময়মতো পৰ্যাপ্ত পরিমাণে গুণগত মানসম্পন্ন খাবার, অন্যান্য সামগ্রী, শিশুখাদ্য এবং পশুর জন্য খাবার পান সে ব্যাপারে জেলা প্ৰশাসনগুলিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এ সব ক্ষেত্রে কোনও ধরনের অবহেলা বা গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলেও নাকি জেলাশাসকদের জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্ৰী। ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে নদীবাঁধ সংস্কারের কাজ এগিয়ে নিতে জলসম্পদ দফতরকে নিৰ্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্ৰী। এ সব কাজে সাংসদ, বিধায়ক, পঞ্চায়েত প্ৰতিনিধি এবং জনসাধারণ সম্পূৰ্ণ সহযোগিতা করছেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্ৰী। বন্যা বিধ্বস্তরা যাতে কোনও ধরনের সমস্যার মুখোমুখি না হন সেদিকে নজর রাখতে বিভিন্ন জেলাশাসকদের নিৰ্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্ৰী।