পাথারকান্দি (অসম), ২৯ মে (হি.স.) : অসম-ত্রিপুরা আন্তঃরাজ্য সীমান্ত সিল। এমতাবস্থায় ত্রিপুরা থেকে পালিয়ে এসে পাথারকান্দিতে ধরা পড়েছে আরও এক শ্রমিক। ধৃতকে প্রথামিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর একান্তবাসে পাঠিয়েছে পাথারকান্দি পুলিশ। নোভেল করোনার প্রাদুর্ভাবে জারিকৃত লকডাউনে ত্রিপুরায় আটকে পড়েছিল করিমিগঞ্জ জেলার রামকৃষ্ণনগর থানার অন্তর্গত ঘোলছড়া গ্রামের জনৈক আবদুল কাদিরের ছেলে মুফিনুল ইসলাম (২৬)।
মাঝে দু দিন বিরতির পর আজ শুক্রবার মুফিনুল ইসলামকে ধরেছে পাথারকান্দি থানার অধীন সোনাখিরা পুলিশ চেকপোস্টের পুলিশ। চেকপোস্টের ইনচার্জ সুখেশ দাস জানান, আজ দুপুরে ত্রিপুরা প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে গোপনে এই যুবক পায়ে হেঁটে আসছিল। কিন্তু এখানে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে উত্তর ত্রিপুরায় জনৈক ঠিকাদারের অধীনে শ্রমিকের কাজ করত। কিন্তু লকডাউনের ফলে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। তাছাড়া ঠিকাদারও কোনও টাকা দেননি। তাই অর্থাভাবে বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশে আসছিল। তবে রাস্তায় তাকে কেউ আটকায়নি বলে দাবি করেছে মুফিনুল।
এদিকে ধৃত মুফিনুল ইসলামকে পাথারকান্দির স্বাস্থ্য দফতরের হাতে সমঝে দিয়েছেন পুলিশ অফিসার। স্বাস্থ্য কর্মীরা তাকে প্রাথমিক পরীক্ষার পর ১৪ দিনের জন্য একান্তবাসে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, চলমান লকডাউনের সময়কালে করোনা ঠেকাতে অসম-ত্রিপুরা আন্তঃরাজ্য সীমান্ত সিল করা হলেও গত কয়েকদিনে পাথারকান্দির সোনাখিরায় অবৈধ ভাবে এসে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে মোট ৪৩ জন।

