নিজস্ব প্রতিনিধি, কাঞ্চনপুর, ২৯ মে৷৷ রাতারাতি ঘর তৈরি করে কাঞ্চনপুর মহকুমার কাংরাই এলাকায় পাট্টাপ্রাপ্ত জমি দখল করে নিচ্ছে মিজোরামের রিয়াং সম্প্রদায়ের কিছু লোক৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা কাঞ্চনপুরে উত্তেজনার পরিবেশ বিরাজ করছে৷ শতশত লোকা একজোট হয়ে মারমুখী অবস্থায় চলে আসে৷
সুত্রের খবর, কাঞ্চনপুর মহকুমার কাংরাই এডিসি ভিলেজের ধনঞ্জয় পাড়া এলাকায় বনাধিকার আইনে প্রাপ্ত পাট্টার জমিতে জম্পুই হিলের কিছু মিজো যুবকরা গতকাল এসে জায়গায় জায়গায় টংঘর তৈরি করছে৷ জানা যায়, অনেক সুপারি গাছও কেটে নষ্ট করে দিয়েছে৷ এনিয়ে কাংরাই এলাকার বাসিন্দা রাজেন্দ্র রিয়াং, ধনচড়ায় রিয়াং, হেমেন্দ্র রিয়াং, রামজয় রিয়াং পাট্টা জমির মালিকরা আজ কাঞ্চনপুর মহকুমা শাসকের অফিসে লিখিত অভিযোগ তুলে দেন৷
জানা গিয়েছে, মিজো কনভেনশনের কিছু লোক এবং ওয়াইএম এর যুবকরা এসে এই পাট্টার জায়গাতে রাতারাতি টংঘর তৈরি করছে এবং রিয়াং সম্প্রদায়ের লোকেরা বাধা দিতে গেলে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে৷ সূত্রের খবর ১৯৯৭ সালে মিজোরাম থেকে আসা কাঞ্চনপুর ও পানিসাগর মহকুমায় উদ্বাস্তু পরিবারদের জন্য জায়গা নির্ধারণ করতে প্রশাসনের প্রতিনিধি দল আজ যান আনন্দবাজার সিসিআরএফ৷ জাম্পুইহিলের নীচের এলাকাগুলিতে বড়ছড়া, পুর্বকাংরাই,পুর্ব হাজা ছড়াতে চলছে টংঘর বানিয়ে জায়গা নির্ধারণ বাতিল করার চেষ্টা৷ আজকের জায়গা পরিদর্শন স্থলে উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক চাদনী চন্দ্রন, এসডিপিও বিক্রম জিৎ শুক্লদাস৷ সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উদ্বাস্তু জনগণের নেতৃত্বরাও৷
মিজোরাম থেকে আসা উদ্বাস্তুদের জন্য প্লট দেখে ভানডারিমা হয়ে কনপুই দিয়ে পুলদুংসাই যাওয়ার সময় মিজোরা পথ অবরোধ করেন৷ মহাকুমা শাসক বলেন আগামী ৩ জুন কাঞ্চনপুর মহকুমা শাসকের অফিসে একটি বৈঠক করা হবে৷ ওই বৈঠকে এসে যা কিছু সমস্যা বলার জন্য৷ মিজোরা মহকুমা শাসকের কাছে প্লটের নাম্বার চেয়েছেন, মহকুমা শাসক বিরক্তের সাথে বলেন, অফিসে এসে দেখা করার জন্য৷ এদিকে, মিজোদের মারমুখী চরিত্রে রীতিমতো আতঙ্কে জুবুথুবু কাংরাই এলাকার জনগণ৷ এখনও সেখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে৷ তবে পুলিশ গোটা বিষয়টির উপর নজর রেখে চলেছে৷