নয়াদিল্লি, ২৭ মে (হি. স.) : দেশি বিমান তেজস-র দ্বিতীয় স্কোয়াড্রন বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বুধবার সুলুর এয়ারবেসে ভারতীয় বিমান বাহিনীর চিফ এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভদৌরিয়া ভারতীয় বিমান বাহিনীর ১৮ স্কোয়াড্রন ‘ফ্লাইং বুলেটস’ কার্যক্রমের সূচনা করেছেন। এই স্কোয়াড্রন এলসিএ তেজাস বিমানে সজ্জিত ছিল। দেশে তৈরি তেজাসকে উড়ানোর জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনীর এদিন দ্বিতীয় স্কোয়াড্রন ছিল।
আজ সকালে কোয়েম্বাটুরের কাছে এয়ারফোর্স স্টেশন সলুরে ৪৫ স্কোয়াড্রন-কে সাথে নিয়ে এলসিএ তেজস যুদ্ধ বিমানের সিঙ্গল ককপিটে বসে এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভদৌরিয়া বিমান চালিয়েছেন। এর সাথেই বিমান বাহিনী প্রধান সুলুর বিমান বাহিনী স্টেশন থেকে আজ দেশীয় তেজস-কে বিমানবাহিনীতে দ্বিতীয় স্কোয়াড্রনের পরিচালনায় শুরু করেন। ভারতীয় বিমানবাহিনী এইচএএল থেকে হালকা যুদ্ধের বিমান তেজস-কে কিনেছে। ২০১৬ সালের নভেম্বরে ভারতীয় বিমানবাহিনী ৫০,০২৫ কোটি টাকায় ৮৩ টি তেজস মার্ক -১ এ কেনার অনুমোদন দিয়েছিল। এই চুক্তির সর্বশেষ চুক্তিটি প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকায় সম্পন্ন হয়েছে।
তেজস দেশীয় প্রযুক্তির চতুর্থ প্রজন্মের ল্যাজবিহীন যৌগিক ডেল্টা উইং বিমান। বিমানটি ফ্লাই বাই ওয়্যার ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম, ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটাল এভিওনিক্স, মাল্টিমোড রাডার সহ সজ্জিত চতুর্থ প্রজন্মের সুপারসনিক যুদ্ধবিমানের গ্রুপের মধ্যে সবচেয়ে হালকা এবং সবচেয়ে ছোট। ভারতে তৈরি এলসিএ তেজস ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ সালে পরিচালনার চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেয়েছিল এবং আনুষ্ঠানিকভাবে বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। তৎকালীন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত বেঙ্গালুরুতে অ্যারো ইন্ডিয়া -২০১৭ অনুষ্ঠানের সময় স্বল্প উড়ানে দেশীয় যুদ্ধবিমান পরিদর্শন করেছিলেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে বেঙ্গালুরুতে দেশীয় প্রযুক্তিতে উন্নত এই যুদ্ধবিমান তেজসেও উড়েছিলেন।
১৮ স্কোয়াড্রন-র গঠন ১৫ এপ্রিল ১৯৬৫ সালে ‘তীক্ষ্ণ এবং নির্ভয়’ অর্থাত্ ‘সুইফ্ট অ্যান্ড ফিয়ারলেস’ মন্ত্রে অনুপ্রাণিত হয়ে গঠিত হয়েছিল। এয়ার ফোর্সের এই স্কোয়াড্রন ১৫ এপ্রিল, ২০১৬-র পূর্বে মিগ -২৭ বিমান চালিয়েছে। এই স্কোয়াড্রনটি চলতি বছরের ১ এপ্রিল সুলুরে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এই স্কোয়াড্রন পাকিস্তানের সাথে একাত্তরের যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিল। স্কোয়াড্রনের ফ্লাইং অফিসার নির্মল জিত সিং সাখো-কে মরণোত্তর পরম বীরচক্র দিয়ে সর্বোচ্চ বীরত্বের পুরষ্কার প্রদান করা হয়। এই স্কোয়াড্রন শ্রীনগরে ‘কাশ্মীর উপত্যকার ডিফেন্ডারস’-র প্রথম গ্রাউন্ড তৈরি ও পরিচালনা করেছিল।

