নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ মে৷৷ করোনা অতিমারির মধ্যেও বাঙালির ভুঁড়িভোজের আয়োজনে কোনও খামতি নেই৷ আগামী বৃহস্পতিবার জামাই ষষ্ঠী৷ ফলে, পাতে ইলিশ ও পাঁঠার মাংস পড়তেই হবে৷ তাই বাজারে ইলিশের মজুত শুরু হয়ে গেছে৷ ইলিশের সবর্োচ্চ দর উঠতে পারে ১,৬০০ থেকে ২,০০০ টাকা৷ তবে সবই জোগানের উপর নির্ভর করছে, জানালেন জনৈক মাছ বিক্রেতা৷ তাঁর দাবি, বাজারে ইলিশের জোগান যথেষ্ট রয়েছে৷ তাতে জামাইদের সন্তুষ্ট করতে মাথার ঘাম বিশেষ ফেলতে হবে না৷
বারো মাসে তেরো পার্বণ৷ হিন্দু বাঙালির জীবনে এই প্রবাদ আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে৷ অবশ্যই, তা বাংলা নববর্ষে ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে৷ সেদিন মানুষের ভিড় দেখে মনে হয়নি করোনা-র প্রকোপে লকডাউন চলছে৷ মাছ বাজার এবং মাংস বাজারে পা ফেলার জু ছিল না৷ জামাই ষষ্ঠীতেও যে তার ব্যতিক্রম হবে না, ব্যবসায়ীরা তা ভালোই জানেন৷ তাই বাঙালির চাহিদা অনুযায়ী সব কিছুর মজুত শুরু হয়ে গেছে৷
এ-বছর আড়ম্বরহীন ভাবেই বিভিন্ন উৎসব পালিত হচ্ছে৷ কারণ একটাই, করোনা-র প্রকোপে লকডাউনে সরকারি নিয়ম পালনে বিধিনিষেধ সকলের মানতেই হচ্ছে৷ কিন্তু, পেটপূজায় কে আটকায়, তাই বাজারে বিক্রেতাদের চোখেমুখে আলাদা চমক লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ জনৈক মাছ বিক্রেতা বলেন, করোনা-র প্রকোপে সীমান্ত সিল হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে মাছ আমদানিতে সমস্যা হচ্ছে৷ বিশেষ করে ইলিশের জোগান হচ্ছে না৷ তবে, কলকাতা থেকে প্রচুর ইলিশ এসেছে৷ দামে এবং গুণে মানুষের পোষাবে বলেই মনে হচ্ছে৷
তাঁর কথায়, জামাই ষষ্ঠীতে ইলিশের চাহিদা বেশি হয়৷ কারণ, জামাইদের সকলেই ইলিশ দিয়ে খাওয়াতে পছন্দ করেন৷ তিনি বলেন, ৪০০-৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৬০০-২০০০ টাকা পর্যন্ত দামের ইলিশ মজুত রয়েছে৷ বাজেট অনুযায়ী যেমন ওজন দরকার তেমন ইলিশ পাওয়া যাবে৷ তিনি বলেন, অন্যান্য মাছও পাওয়া যাবে৷ অন্তত, জামাই ষষ্ঠীতে মাছ নিয়ে কারোর ভাবতে হবে না, আশ্বস্ত করেন তিনি৷