শিলচর (অসম), ২৪ মে (হি.স.)৷৷ অসমে ত্রিপুরার তিন নাগরিকের দেহে করোনা সংক্রমনের সন্ধান মিলছে৷ তার মধ্যে একজন আগরতলা থেকে আগত এবং বাকি দুইজন চেন্নাই থেকে৷ রবিবার অসমের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে৷
শনিবার রাতে বরাক উপত্যকায় নতুন করে আরও আটজনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে৷ এ নিয়ে গোটা বরাক উপত্যকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২-এ৷ নতুন আক্রান্তদের মধ্যে হাইলাকান্দির শিশু সহ তিন, কাছাড়ের তিন এবং ত্রিপুরার দুই বাসিন্দা৷
শিলচর মেডিক্যাল কলেজের সর্বশেষ রিপোর্টে নিশ্চিত আটজ পজিটিভ রোগীর মধ্যে রয়েছেন হাইলকান্দি জেলার পালইছড়া গ্রামের একই পরিবারের দিলওয়ার হুসেন চৌধুরী (৩১), রেহমানা বেগম (২২) এবং সাদিকুর রহমান চৌধুরী (২)৷ স্বামী স্ত্রী ও তাঁদের শিশুসন্তান অতিসম্প্রতি বেঙ্গালুরু থেকে এসেছিলেন৷ ছিলেন কোয়ারেন্টাইনে৷
কাছাড় জেলার তিনজনের মধ্যে কাপ্তানপুরের তাহের আলি চৌধুরী (২৯)৷ তিনি তেলেঙ্গানা থেকে এসেছিলেন৷ এছাড়া কালাইনের দামন মুণ্ডা ( ১৮), তিনি এসেছিলেন ঝাড়খণ্ড থেকে৷ তৃতীয়জন কচুদরমের আমির হুসেন লস্কর (২০)৷ তিনি এসেছিলেন ত্রিপুরার আগরতলা থেকে৷
এছাড়া ত্রিপুরার দুই আক্রান্তরা যথাক্রমে দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া এলাকার মলয় আচার্য (৪০) এবং উদয়পুরের মিঠন দেবনাথ (৩০)৷ এই দুজন মুম্বাই থেকে এসেছিলেন৷ ত্রিপুরায় নিজেদের বাড়ি যাওয়ার আগে এখানে তাঁদের লালারস পরীক্ষা হয়৷ পরীক্ষায় রেজাল্ট পজিটিভ আসে৷ উভয়ের চিকিৎসা চলছে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে৷
শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোভিড সেলে ৪২ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে, তিনি হাইলাকান্দি জেলার ফইজুল হক৷ বর্তমানে শিলচর মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ওয়ার্ডে ৩১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ এছাড়া তিন জেলার ১১ জন সুস্থ হয়ে চলে গেছেন৷
এদিকে কাছাড় জেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ জনে৷ এ মধ্যে একজন শোণিতপুর জেলার অন্তর্গত ঢেকিয়াজুলির ঠেলামারা কোচগাঁওয়ের বাসিন্দা৷ বিপরীতে করিমগঞ্জ জেলার ৭ জন এবং হাইলাকান্দি জেলার ৬ জন লোক আক্রান্ত হয়েছেন৷ অপরদিকে ত্রিপুরার ২ জনকে আক্রান্তের তালিকায় যুক্ত করে বরাক উপত্যকার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪২-এ৷ ক্রমবর্ধমান কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্রান্তের ঘটনায় উপত্যকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে৷
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, রাজ্যে প্রথম গত ৩১ মার্চ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গিয়েছিল৷ তিনি ছিলেন করিমগঞ্জ জেলার বদরপুর থানার হাসানপুর গ্রামের বাসিন্দা মুফতি জামাল উদ্দিন৷ জামাল ইতিমধ্যে করোনা-মুক্ত হয়ে বাড়ি চলে গেছেন৷ তার পর যথাক্রমে ৭ মে পর্যন্ত ৫০, ১৭ মে পর্যন্ত ১০০, ১৯ মে থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে, এদিন রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয় ১৫০, ২১ মে এক লাফে বেড়ে ২০০, ২২ মে ২৫০, ২৩ মে ৩০০ এবং আজ ২৪ মে এই খবর লেখা পর্যন্ত কোভিড-১৯ পজিটিভের মামলা ধরা পড়েছে ৩৫২টি৷ এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড় হিমন্তবিশ্ব শর্মা৷

