কোভিড -১৯ লড়াইয়ে এইচআইভি ড্রাগের চেয়েও কাংরা চা অধিক কার্যকর : আইএইচবিটি

নয়াদিল্লি, ২৩ মে (হি. স.) : কোভিড -১৯-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এইচআইভি চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষুধের তুলনায় চা-র রাসায়নিক উপাদান মানব দেহে অধিক রোগ-প্রতিরোধ বাড়াতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, চা করোনা ভাইরাসের গতিবিধি কমাতে অনেক বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। কাংরা চা করোনা-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্যতম হাতিয়ার বলে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান বায়োরিসোর্স টেকনোলজি (আইএইচবিটি)। হিমাচল প্রদেশের পালামপুরে অবস্থিত আইএইচবিটি-র পরিচালক ডঃ সঞ্জয় কুমার এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক চা দিবস উপলক্ষে আইএইচবিটি-তে একটি ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখার সময় কাংরা চা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

ডাঃ সঞ্জয় কুমার দাবি করেন, চায়ে এমন অনেক রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এইচআইভি চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষুধের তুলনায় অধিক কার্যকর হতে পারে। বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার-ভিত্তিক মডেল ব্যবহার করে ৬৫ টি জৈবিকভাবে সক্রিয় রাসায়নিক বা পলিফেনল পরীক্ষা করেছেন যা এইচআইভি চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষুধের চেয়ে নির্দিষ্টভাবে ভাইরাল প্রোটিনকে আরও দক্ষতার সাথে আবদ্ধ করতে পারে। তিনি বলেন, ওই রাসায়নিকগুলি সেই ভাইরাল প্রোটিনগুলির ক্রিয়াকলাপকে আটকাতে সক্ষম যা মানবদেহে ভাইরাসকে ছড়াতে সহায়তা করে। তাঁর কথায়, বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা পরিষদের সাথে সম্পর্কিত আইএইচবিটি তার প্রযুক্তি সহযোগীদের সাথে মিলে চা ভিত্তিক প্রাকৃতিক সুগন্ধযুক্ত তেল দিয়ে অ্যালকোহল হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন ও সরবরাহ করছে।

আইএইচবিটি-তে চা-র নির্যাস ব্যবহার করে ভেষজ সাবানও তৈরি করা হয়েছে। গবেষক-দের মতে, এই সাবান মূলত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাস বৈশিষ্ট্যযুক্ত। হিমাচল-র দুটি সংস্থা ওই সাবানের উৎপাদন ও বিপণন করছে। এই উপলক্ষে চা-ভিনেগার প্রযুক্তিটি ধর্মশালাস্থিত কোম্পানি মেসার্স কাশ আই বিষ্ক-কে স্থানান্তর করা হয়েছে। চা ভিনেগারে স্থূলত্ব-রোধের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়াও, আয়ুশের সুপারিশকৃত ভেষজ সমন্বিত ভেষজ সবুজ এবং কালো চা পণ্যগুলিও চালু করা হয়েছে। এই পণ্যগুলি মন্ডির উদ্যোক্তা পরিতোষ ভরদ্বাজ মুখ্যমন্ত্রী স্টার্ট-আপ প্রকল্পের আওতায় তৈরি করেছেন। গবেষক-দের দাবি, এই পণ্যগুলি কোভিড -১৯-র বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুব কার্যকর হতে পারে। 

হিন্দুস্থান সমাচার \ সন্দীপ \ সন্তোষ