নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ মে৷৷ রাজধানীর পূর্ব এবং পশ্চিম থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তিন চোরকে পাকড়াও করতে সক্ষম হয়েছে৷ তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেওয়া সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে৷ তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে৷ শনিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়৷
পুলিশ রিমান্ডে এনে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ চুরি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদচালাবে পুলিশ৷ আটক তিন দাগি চোরের নাম হলো জয়দীপ ঘোষ, রত্নদ্বীপ বিশ্বাস এবং গোপাল দাস৷ তাদের হেফাজত থেকে ল্যাপটপ মোবাইল সহ অন্যান্য বেশ কিছু চুরি যাওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ৷ সদরের এসডিপি ও অনির্বাণ দাস জানান পূর্ব এবং পশ্চিম থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে যৌথ অভিযান চালিয়ে এই সাফল্য পেয়েছে৷ উল্লেখ্য লকডাউন চলাকালে রাজধানী আগরতলা শহর ও শহরতলি এলাকায় চোরের দৌরাত্ম্য ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে৷ চোরের দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষ নাজেহাল৷
রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে চোরেরা৷ লকডাউন চলাকালে চুরির ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকায় পুলিশের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ণ তুলেছেন সাধারণ জনগণ৷ তাতে পুলিশও সমস্যায় পড়েছে৷ পুলিশের অস্তিত্ব জনসমক্ষে তুলে ধরতে এবং পুলিশের হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারের জন্যই শুক্রবার রাতে আগরতলা পূর্ব এবং পশ্চিম থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযানে শামিল হয়৷ পুলিশ সক্রিয় হলে যেকোনো অসাধ্য কাজ সাধন করতে পারে এই প্রমাণ তুলে ধরেছে পূর্ব ও পশ্চিম থানার পুলিশ৷
পুলিশের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শহরতলি এলাকার মানুষজন৷ লকডাউন চলাকালে পুলিশের তৎপরতা আরও বাড়ানোর জন্য জোরালো দাবি উঠেছে৷ পুলিশের একাংশের গাফিলতির কারণেই আগরতলা শহর ও শহরতলী এলাকায় লকডাউন চলাকালে চুরির ঘটনা উপর্যুপরি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বিভিন্ন মহলের অভিমত৷ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো এবং জনগণের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য আরক্ষা প্রশাসন নির্দেশ জারি করেছে৷ শুক্রবার রাতে আগরতলা পূর্ব ও পশ্চিম থানার পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে যে সাফল্য অর্জন করেছে তার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় পুলিশ ইচ্ছে করলেই এইসব অপরাধপ্রবণতা দমন করতে সক্ষম৷

