ধুবড়ি (অসম), ১৭ মে (হি.স.) : নিম্ন অসমের ধুবড়ির নুনিয়াপট্টি এলাকায় তিন শিশু সমেত ১৩ জন মুসলমান ফেরিওয়ালাকে আশ্ৰয় দিয়ে চৰ্চার কেন্দ্ৰবিন্দু হয়ে উঠেছে একটি হিন্দু পরিবার। খবরটি সংবাদ মাধ্যমে প্ৰকাশ হওয়ার পর বিষয়টি নজরে আসে দেশের উপ-রাষ্ট্ৰপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুরও। ধুবড়ির এই পরিবারের এহেন পদক্ষেপে টুইটারে তিনি তাঁদের ভূয়সী প্ৰশংসা করেছেন।
গোটা দেশে লকডাউনের জেরে গত দু মাস ধরে ধুবড়িতে আটকে রয়েছেন বিহারের ওই ১৩ জন ফেরিওয়ালা। প্ৰত্যেক বছরই ধুবড়ির আশোকাষ্টমী মেলায় বিহারের খাগরিয়া জেলা থেকে এই সকল ফেরিওয়ালা আসেন। দু পয়সা উপাৰ্জনের আশায় মেলায় বিভিন্ন ধরনের বাঁশি, খেলার সামগ্ৰী নিয়ে বসেন তাঁরা। এ বছরও মাৰ্চের প্ৰথম সপ্তাহ থেকে ১৫ দিন ব্যাপী মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আশোকাষ্টমীর স্নানের দিন থেকে ১৫ দিন পৰ্যন্ত চলে এই মেলা। কিন্তু মহামারি করোনার ফলে সমস্ত কিছু ভেস্তে যায়। বাতিল হয় মেলার সব কাৰ্যসূচি। তার পরই দেশে লকডাউন জারি হয়ে যায়। তখন থেকে বিপদে পড়েন বিহারের ওই সকল ফেরিওয়ালারা।
এ বছর বিহার থেকে প্ৰায় পাঁচ মাস আগেই ফেরিওয়ালারা ধুবড়িতে এসে উপস্থিত হন। ধুবড়ি শহরের নুনিয়াপট্টি এলাকার দেব কুমার নামের এক ব্যক্তির ভাড়াঘরে গৃহবন্দি ছিলেন তাঁরা। বিহারে নিজের বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও গাঁটের পয়সা ফুরিয়ে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এদিকে রমজান মাসও শুরু হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে ঘরের মালিক দেব কুমার এবং স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে তাঁদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করেন। রমজান মাসের ইফতারের ব্যবস্থা করে দেন স্থানীয়রা। সংবাদ মাধ্যমে খবরটি প্ৰকাশ্যে এলে প্ৰশাসনের তরফ থেকে তাঁদের বেশ কয়েকদিনের খাবার দাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এএসটিসি-র বাসে করে তাঁদের বিহারে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা করে দিয়েছে ধুবড়ি জেলা প্ৰশাসন।