ফের দুঃসংবাদ, ৪ জন সাধারণ নাগরিকসহ করোনা আক্রান্ত ১১

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ মে৷৷ সাতসকালে মিলল দুঃসংবাদ৷ ফের ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে৷ ১১ জনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে৷ আজ (শনিবার) সকালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ৬২৫টি নমুনা পরীক্ষায় ১১ জনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে৷ তাঁদের মধ্যে বিএসএফ-এর ৮৬ ব্যাটালিয়নের ৭ এবং ৪ জন সাধারণ নাগরিক৷ সাথে তিনি যোগ করেন, ৪ জন সাধারণ নাগরিকের মধ্যে বহিঃরাজ্য থেকে আগত ২ জন ট্রাকচালক এবং গুয়াহাটি ফেরত ত্রিপুরার দুই বাসিন্দা রয়েছেন৷ তাদেরকে চোরাইবাড়িতে চিহ্ণিত করা হয়েছে৷


করোনা আক্রান্তের তালিকায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শীর্ষে ত্রিপুরা৷ এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় ১৬৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে ৪২ জন সুস্থ হয়েছেন৷ আজ নতুন করে করোনা আক্রান্তের খবরে ত্রিপুরাবাসী আবারও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আশ্বস্ত করেছেন, সকল করোনা আক্রান্তের সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে৷ তাই তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠছেন৷
ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্ত দুজনের মধ্যে একজন ধলাই এবং অপরজন খোয়াই জেলার বাসিন্দা৷ তাঁদেরকে আজ (শনিবার) আগরতলায় শহিদ ভগৎ সিং যুব আবাসে আনা হয়েছে৷ তাঁরা অসমের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে এসেছেন৷ চোরাইবাড়িতে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিলঊ দুজনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে৷ এছাড়া, সাতজন বিএসএফ জওয়ান এবং দুই ট্রাকচালকেরও কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে৷ তাঁদের সকলকে শহিদ ভগৎ সিং যুব আবাসে আনা হয়েছে৷


আজ সকালে খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমায় উত্তর মহারানিপুর নিজের বাড়ি থেকে করোনা আক্রান্ত যুবতীকে আগরতলায় আনা হয়েছে৷ তাঁর বয়স ২০ বছরঊ ওই যুবতী গুয়াহাটিতে পড়াশুনা করেন৷ সড়কপথে তিনি ত্রিপুরায় এসেছেন৷ চোরাইবাড়িতে আসার পর তাঁর সোয়াব সংগ্রহ করা হয়েছিল৷ এখন তাঁর কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে৷ তার পরিবারের সকল সদস্যে ইতিমধ্যে বাড়িতে একান্তবাসে রাখা হয়েছে৷ পাশাপাশি তাঁদেরও নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷


স্বাস্থ্য দফতর সুত্রের খবর, ওই যুবতী গত বৃহস্পতিবার উত্তর মহারানিপুরে নিজের বাড়িতে এসেছেন৷ চোরাইবাড়ি থেকে বাসে ওইদিন রাতে তিনি মুঙ্গিয়াকামীতে আসেন এবং সেখান থেকে বাড়ি গেছেন৷ তাঁর করোনা আক্রান্তের খবরে স্বাভাবিকভাবেই উত্তর মহারানি এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে৷
অন্যদিকে, করোনা আক্রান্ত যুবক ধলাই জেলার কমলপুর মহকুমায় কচুছড়ায় কবিরাজটিলা এলাকার বাসিন্দা৷ তাঁর বয়স ২৪ বছর৷ তিনি মধ্য অসমের তেজপুরে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত৷ গত পরশু তিনি গুয়াহাটি হয়ে ফিরেছেন৷ তাঁর কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ায় আজ তাঁকে আগরতলায় আনা হয়েছে৷ তাঁর ভাই বলেন, মধ্য অসমের তেজপুরে একটি বেসরকারি সংস্থায় আমরা কর্মরত ছিলাম৷ লকডাউনে ভীষণ অসুবিধা হওয়ায় আমরা ফিরে এসেছি৷ তাঁর দাবি, চোরাইবাড়ি থেকে আমরা বাসে আমবাসায় আসি৷ সেখান থেকে ম্যাক্স গাড়িতে বাড়িতে এসেছি৷ তিনি বলেন, আজ বাবা, মা ও আমার নমুনা নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷


প্রসঙ্গত, আজ ১১ জনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট এসেছেঊ তাঁদের মধ্যে ধলাই জেলা সদর আমবাসায় জওহরনগরস্থিত বিএসএফ ৮৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের ৭ জওয়ান, দুজন ট্রাক চালক এবং দুজন ত্রিপুরার সাধারণ নাগরিক রয়েছেনচ করোনা আক্রান্ত দুই ট্রাকচালক ওএনজিসি-র জন্য বহিঃরাজ্য থেকে পণ্য নিয়ে এসেছিলেন৷